চিঠি, পাল্টা চিঠি চলছে ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে। —ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নাকি বৈঠকের দিনই দিচ্ছিল না ইমামিকে। এমনই বার্তা দিল বিনিয়োগকারী সংস্থা। পাল্টা বার্তা ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের। চিঠি, পাল্টা চিঠি চলছে ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে ইমামিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, তারা বেশ কিছু ফুটবলারের নাম পাঠাচ্ছে, তাঁদের আগামী মরসুমে দলে নেওয়া হোক। কিন্তু ইমামির তরফে সোমবার বলা হয়, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে ফুটবলারদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে যে খবর জানা গিয়েছে সেই প্রসঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে, ক্লাবের তরফে দেওয়া নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছার উপর নির্ভর করে কোচ বা ফুটবলার নেওয়া সম্ভব নয়। সেটার জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। আমরা ভাল দল গড়ার জন্য সেটা করব। আমরা ক্লাবকে বার বার বৈঠকে বসতে বলেছি। কিন্তু কোনও তারিখ আমাদের দেওয়া হয়নি। মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগে আমরা এই বৈঠক করতে চাই। দলগঠন সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা ক্লাবকে অবশ্যই জানানো হবে।”
ইমামির এই বার্তা পাওয়ার পর দেবব্রত বলেন, “১০ ডিসেম্বর আমরা বৈঠক করতে চেয়েছিলাম। সেই চিঠিও ইমামিকে পাঠিয়েছিলাম। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা ভেবেই বৈঠক করতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তার উত্তর আজ পর্যন্ত পাইনি। কিছু দিন আগে আমাদের বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বৈঠক করার জন্য। সেই সময় আমরা জানিয়েছিলাম যে, সদস্যদের সঙ্গে আমাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠক রয়েছে। তার পর অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যে কোনও দিন বৈঠক করতে আমরা রাজি। এর পরেও যদি ওরা বলে যে আমাদের কাছে তারিখ পায়নি তা হলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।”
রবিবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান আদিত্য আগরওয়াল এবং মনীশ গোয়েঙ্কাকে চিঠি দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই চিঠিতে লেখাছিল, “এই মরসুমে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স সমর্থকদের মন ভেঙে দিয়েছে। সেই কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সদস্য এবং কর্তারা মিলে কিছু ফুটবলারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা বিদেশি এবং স্বদেশি ফুটবলারদের নিয়েই বানানো হয়েছে। এমন কিছু ফুটবলার হয়তো রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে অন্য ক্লাবের চুক্তি রয়েছে। ট্রান্সফার ফি দিয়েই নিতে হবে সেই ফুটবলারদের। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।” এর পরেই সোমবার চিঠি দিল ইমামি।