ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে ইউরো কাপের প্রথম রাউন্ড। সে দিনই নামছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিপক্ষে চেক প্রজাতন্ত্র। ইউরো কাপের অভিজ্ঞতা এবং খ্যাতির বিচারে বাকিদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন রোনাল্ডোই। এটাই সম্ভবত শেষ ইউরো কাপ হতে চলেছে রোনাল্ডোর। ৩৯ বছরের ফুটবলারের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পর্তুগাল। ২০১৬-র পর দ্বিতীয় ট্রফি জিততে ভরসা রোনাল্ডোই। পর্তুগালের অধিনায়কও চাইবেন ট্রফি জিতে কেরিয়ার শেষ করতে।
এই নিয়ে ছ’নম্বর ইউরো কাপ খেলতে নামবেন রোনাল্ডো। এই নজির আর কারও নেই। ২০০৪ সালে প্রথম বার ইউরোয় খেলেছিলেন রোনাল্ডো। সে বার ফাইনালে উঠে স্বপ্নভঙ্গ হয়। কেরিয়ারের শেষ ইউরোতেও রোনাল্ডোর চোখ সেই ট্রফিতেই।
ইউরো কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল রয়েছে রোনাল্ডোরই। ১৪টি গোল করেছেন। এ বার সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যোগ্যতা অর্জন পর্ব মিলিয়ে ধরলে তাঁর গোলসংখ্যা ৪৫। ধারেকাছে কেউ নেই। এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১০টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। ইউরোপ ছেড়ে ক্লাব ফুটবল খেলতে সৌদি আরবে চলে গেলেও ধার কমেনি। আল নাসেরের হয়ে গত মরসুমে ৩১টি ম্যাচে ৩৫টি গোল করেছেন।
তবে বড় কথা হল, এই পর্তুগাল এখন শুধু রোনাল্ডোর উপর নির্ভরশীল নয়। ব্রুনো ফের্নান্দেস, বের্নার্দো সিলভা, রুবেন দিয়াস, রাফায়েল গুয়েরেরো, ভিটিনহার মতো ফুটবলারেরা রয়েছেন। রোনাল্ডোর ঘাড়ে বাড়তি বোঝা না চাপিয়ে তাঁরাও পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেন।
তবে দলে রোনাল্ডোর গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝা যাবে কোচ রবার্তো মার্তিনেসের কথা শুনলে। তিনি বলেছেন, “আমাদের হাতে ২৩ জন ফুটবলার রয়েছে। প্রত্যেকে দলের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারে। এর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানোও রয়েছে যে এই বয়সেও নিজের সেরাটা দিতে পিছপা হয় না। ও সাজঘরে যে প্রভাব ফেলে সেটা বিশ্বের আর কোনও ফুটবলার পারে না।”
রোনাল্ডো যে বিপজ্জনক, সেটা মানছেন চেক প্রজাতন্ত্রের অধিনায়ক টমাস সৌসেকও। তিনি বলছেন, “আমরা জানি ক্রিশ্চিয়ানো একটা সুযোগ পেলে সেখান থেকেই গোল করে দেবে। আমরা ওকে খেলার জায়গা দিতে চাই না। তবে ও ছাড়াও পর্তুগাল দলে আরও ২৫ জন খেলোয়াড় আছে, যাদের নিয়ে ভাবতে হবে। ওরা ইউরোপের অন্যতম সেরা দল।”
চেক প্রজাতন্ত্রের কোচ ইভান হাসেন বলেছেন, “পর্তুগালের খেলোয়াড়েরা বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলিতে খেলে। ওরা প্রত্যেকে তারকা এবং ম্যাচে ফেভারিট হিসাবেই নামবে। তবু আমরা জয়ের স্বপ্ন দেখছি। রোনাল্ডোর ব্যাপারে সবই জানি। তবে দিনের শেষে আমরা মনে রাখতে চাই যে শুধু ওর বিরুদ্ধে খেলিনি, ওকে হারিয়েছি।”
দিনের অন্য ম্যাচে তুরস্কের বিরুদ্ধে খেলবে জর্জিয়া। তুরস্কের আগে যে গরিমা ছিল, তা এখন আর নেই। গোটা দলই নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। অন্য দিকে, জর্জিয়া প্রথম বার ইউরো কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রথম বারই ছাপ ফেলতে মরিয়া তারা।