চেলসি এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার আতসু থাকতেন ১১ তলার একটি বাড়িতে। ছবি: রয়টার্স
ভূমিকম্পের সময় ১০ তলার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। আচমকা নড়ে ওঠে বাড়িঘর। এক সময় তা ভেঙে পড়ে। তিনিও চাপা পড়েন ধ্বংসস্তূপের নীচে। সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য ভাবে উদ্ধার করা হল ঘানার ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসুকে। তুরস্কের একটি ক্লাবে খেলেন তিনি। তারাই মঙ্গলবার উদ্ধারের কথা জানায়। আতসুর এজেন্টের তরফে ভূমিকম্পের পরবর্তী সেই সময়ের কথা জানা গিয়েছে।
চেলসি এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার আতসু থাকতেন ১১ তলার একটি বাড়িতে। ভূমিকম্প হওয়ার কিছু ক্ষণ আগেই নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভূমিকম্পের পর বেরোতে পারেননি সেখান থেকে। চাপা পড়েন ধ্বংসস্তূপের নীচে। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে পায়ে মারাত্মক চোট লেগেছে। আপাতত তারই শুশ্রূষা চলছে।
আতসুর এজেন্ট নানা সেশেরে বলেছেন, “শেষ বার রবিবার রাতে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ক্রিশ্চিয়ান এবং ওর বন্ধুরা রাত সাড়ে ৩টে পর্যন্ত পোকার খেলেছিল। আধ ঘণ্টা লাগে ওর বাড়িতে ফিরতে। তাই চারটে নাগাদ বাড়ি ফিরে ও ঘুমিয়ে পড়ে। ভূমিকম্প শুরু হয় ২০ মিনিট পরে। আমি কিছুই জানতাম না। হঠাৎ ওর ক্লাবের এক কর্তা আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন ক্রিশ্চিয়ানের কোনও খবর জানি কিনা। ও-ই আমাকে বলে, ক্রিশ্চিয়ানের বাড়ি পুরো ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে এবং ওর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।”
লন্ডনের বাড়ি থেকে সেশেরে আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম ও জেগে আছে এবং তখনই হয়তো ভূমিকম্প হয়েছে। ক্লাবের কর্তারা বার বার আমার কিছু ব্যবস্থা করছিলেন। আমি বোঝাতে পারছিলাম না যে এত দূর থেকে কিছু করা অসম্ভব। ইংল্যান্ড এবং ঘানায় অনেকে বলছিল আতসু বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার প্রথম ওর ক্লাবের থেকে নিশ্চিত হই। ওরাই জানায় যে আতসু হাসপাতালে এবং স্থিতিশীল রয়েছে।”