বিধ্বস্ত: লড়াই করেও হার। মাঠেই বসে পড়লেন অ্যান্টনি। ছবি: রয়টার্স।
সাত গোলের রুদ্ধশ্বাস নাটক! ইপিএলে বৃহস্পতিবার চেলসি ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে। বলা যায়, মাত্র দু’মিনিটের মধ্যে রেড ডেভিলসের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন নীল জার্সির সৈনিকেরা। এবং তার যাবতীয় কৃতিত্ব ২১ বছর বয়সি উইঙ্গার কোল পামারের। হ্যাটট্রিকও করলেন তিনি। সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে রচিত হল নতুন নজির।
১৯ ও ১০০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করা পামার ১০১তম মিনিটে করেন জয়সূচক ও হ্যাটট্রিকের গোল। ১০০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড সময়ে দেওয়া পামারের গোল প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে ম্যাচ জেতানো শেষ সময়ের গোল। ম্যাচে শেষের নাটকীয়তার দেড় ঘণ্টার খেলা ছিল সমান-সমান। খেলা শুরুর চার মিনিটে কোনর গ্যালাঘার এবং ১৯ মিনিটে পামারের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। ম্যাচে চেলসির নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে শুরু করে ময়েস কাইসেদোর একটি ভুলে। ৩৪ মিনিটে তিনি ভুল করে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পায়ে বল তুলে দিলে আর্জেন্টাইন তরুণ সেটা জালে পাঠান। পাঁচ মিনিট পরেই ইউনাইটেড সমতা ফেরায়। গোলদাতা ব্রুনো ফার্নান্দেস। ইউনাইটেড তৃতীয় গোল করে ৬৭ মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার অ্যান্টনির তোলা সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান ৩-২ করেন গারনাচো।
এই ফলেই শেষ হতে চলা ম্যাচ একেবারে অন্তিম মুহূর্তে পামারের জোড়া গোলে নাটকীয় রূপ নেয়। পালমারের নির্ণায়ক গোলটির পাস দেন এনজো ফার্নান্ডেজ। একেবারে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন সেই বল। এরপর যে শট নেন, তা স্কট ম্যাকটোমিনের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের পরে হতাশ ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ বলেছেন, ‘‘এত ছন্দহীন ফুটবল খেললে জয় ধরে রাখা সম্ভব নয়। ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু রক্ষণ যদি সতর্ক না থাকে, তা হলে কিছু করার নেই।’’ ৩০ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে ম্যান ইউ রয়েছ ছয় নম্বরে। প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা রিয়ো ফার্ডিনান্ড বলেছেন, ‘‘বাস্কেটবল হল না কি ফুটবল? আমার কাছে ব্যাপারটা এখনও স্পষ্ট হল না। এত দুর্বল রক্ষণ নিয়ে লড়াই করা খুব কঠিন।’’
তবে ম্যান ইউয়ের হারের রাতে ছন্দ ধরে রেখেছে লিভারপুল। তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। ৩০ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তারা শীর্ষেই রয়েছে।
১৭ মিনিটে ডারউইন নুনেজ়ের গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পরে কোনর ব্র্যাডলির আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে। ৭৬ মিনিটে আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টারের দুরন্ত শটে গোলের সৌজন্য লিভারপুল ২-১ এগিয়ে যায়। জয় নিশ্চিত করেন কোডি গাকপো।
ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘‘দল যে ফুটবল খেলেছে, তাতে এই ব্যবধান বাড়তেও পারত। তবে আমি এই ফলে খুশি। এই ছন্দ এন আমাদের ধরে রাখতে হবে।’’