নীল-সাদা জার্সিধারী বাংলা দল গোটা প্রতিযোগিতাতেই ছিল দারুণ ছন্দে। পঞ্জাবকে হারিয়ে শুরু হয়েছিল এ বারের সন্তোষ ট্রফির জয় যাত্রা। এর পর কেরলের বিরুদ্ধে ০-২ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলা। এর পর মেঘালয় এবং রাজস্থানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেন মনোতোষ চাকলাদাররা। প্রথম ম্যাচে মাথা ফেটে গেলেও যিনি দলের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নেমে লড়াই করেছেন।
কেরলের বিরুদ্ধে হার বাংলার। ছবি: টুইটার থেকে
দিলীপ ওরাওয়ের গোলে এগিয়ে গিয়ে সন্তোষ ট্রফি এল না বাংলায়। ৯০ মিনিট পর্যন্ত কেরল এবং বাংলার ম্যাচ ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ায়। সেখানেই গোল করেন দিলীপ। কিন্তু সেই গোল শোধ করে কেরল। টাইব্রেকারে গিয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতে নিল কেরল। ৬-৫ ব্যবধানে হেরে গেল বাংলা।
৯৬ মিনিটের মাথায় দিলীপের গোলের পিছনে বড় ভূমিকা নেন সুপ্রিয় পণ্ডিত। প্রথম একাদশে ছিলেন না তিনি। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাড়ালেন গোলের পাস। সুপ্রিয়র ক্রস থেকেই গোল করেন দিলীপ। কেরলের মঞ্জেরি স্টেডিয়ামে তাদের রাজ্যের দলের বিরুদ্ধে গোল করলেন তিনি। গোটা স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে দেন দিলীপ। ১১৭ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন কেরলের বিবিন অজয়ন। হেডে গোল করে যান তিনি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
নীল-সাদা জার্সিধারী বাংলা দল গোটা প্রতিযোগিতাতেই ছিল দারুণ ছন্দে। পঞ্জাবকে হারিয়ে শুরু হয়েছিল এ বারের সন্তোষ ট্রফির জয় যাত্রা। এর পর কেরলের বিরুদ্ধে ০-২ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলা। এর পর মেঘালয় এবং রাজস্থানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেন মনোতোষ চাকলাদাররা। প্রথম ম্যাচে মাথা ফেটে গেলেও যিনি দলের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নেমে লড়াই করেছেন।
জয়ের পর কেরল। ছবি: টুইটার থেকে
ফাইনালের টাইব্রেকার ভরা ছিল চূড়ান্ত নাটকে। দুই দল টাইব্রেকারের মাঝে গোলরক্ষক বদল করেন। বাংলার হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন দিলীপ ওরাও, বাবলু ওরাও, তন্ময় ঘোষ এবং গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত কুমার সিংহ। শেষ গোলের সময় বাংলা গোলরক্ষক বদল করে। কেরলের পাঁচটি শটই গোলের মধ্যে ছিল।
সেমিফাইনালে বাংলা হারায় মণিপুরকে। ৩-০ ব্যবধানে জেতেন ফারদিন আলি মোল্লাররা। ফাইনালে সামনে ফের কেরল। যে দলের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল গ্রুপ পর্বে। সেই কেরলের বিরুদ্ধে ফাইনালে ফের হেরে সন্তোষ ট্রফি এল না বাংলায়।