নেদারল্যান্ডসের ফুটবলারদের এই ঘেরাটোপ থেকেই গোলের পাস বাড়িয়েছিলেন মেসি। ছবি: টুইটার
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অবাক করা পাস দিয়েছিলেন লিয়োনেল মেসি। ম্যাচের প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডস বক্সের মধ্যে সতীর্থ নাহুয়েল মোলিনাকে দেওয়া তাঁর সেই পাস নিয়ে পরবর্তীতে অনেক আলোচনা হয়েছে। কী ভাবে সেই পাস দিয়েছিলেন মেসি? সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লিয়ো।
নেদারল্যান্ডসের অর্ধে মোলিনার কাছ থেকেই বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি যখন বল নিয়ে গোলের দিকে এগোচ্ছিলেন তখন তাঁর পাশে তিন থেকে চার জন প্রতিপক্ষ ফুটবলার। তিনি একটি নির্দিষ্ট প্রান্ত দিয়ে এগোচ্ছিলেন। হঠাৎ সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে পাস বাড়ান মেসি। না তাকিয়েই সেই পাস দেন লিয়ো। সেখানে তত ক্ষণে পৌঁছে গিয়েছেন মোলিনা। তিনি সেই বল ধরে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। যেখান থেকে মোলিনাকে পাস দিয়েছিলেন মেসি সেখান থেকে ডিফেন্ডারদের মাঝখান দিয়ে বল বাড়ানো খুব মুশকিল। যদি না কোনও ফুটবলার নিশ্চিত থাকেন যে সেখানে তাঁর সতীর্থ রয়েছেন। মেসি কি জানতেন যে মোলিনা সেখানে থাকবেন? না কি আন্দাজে সেই পাস বাড়িয়েছিলেন তিনি?
বিশ্বজয়ের প্রায় সাত মাস পরে মেসিকে এই প্রশ্ন করেছেন খোদ মোলিনা। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তুমি কি আমাকে দেখতে পেয়েছিলে?’’ জবাবে মেসি বলেন, ‘‘আমি এক ঝলকে দেখেছিলাম যে তুমি ওদিক দিয়ে উঠছ। তার পরে ভেবেছিলাম আমাকে আটকাতে এত জন ডিফেন্ডার থাকলে নিশ্চয় উল্টো দিক ফাঁকা থাকবে। তাই সে দিকে বল বাড়িয়েছিলাম। তোমার কোনও আওয়াজ আমি শুনতে পাইনি। এক বার শুধু দেখেছিলাম।’’
প্রথমার্ধে মোলিনার গোলের পরে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। দেখে মনে হচ্ছিল সহজেই জিতে যাবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ দিকে দু’টি গোল করে নেদারল্যান্ডসকে খেলায় ফেরান উইঘর্স্ট। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে নেদারল্যান্ডসের দু’টি পেনাল্টি বাঁচিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এই ম্যাচে মাঝে মাঝেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। একটি লাল কার্ড-সহ মোট ১৫টি কার্ড দেখান রেফারি। হলুদ কার্ড দেখেন মেসিও। ম্যাচ শেষে নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে বিবাদেও জড়ান লিয়ো।
তার পরে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া ও ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। দেশের ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা কাটান মেসি। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও পান লিয়ো।