গোলের উচ্ছ্বাস প্রবীর, মনবীর, লিস্টনদের। নিজস্ব চিত্র
এটিকে মোহনবাগান ৫ (কাউকো ২, মনবীর ২, উইলিয়ামস)
ব্লু স্টার এসসি ০
শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যতটা দুর্বল, ঠিক ততটাই যেন দুর্বল শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার এসসি। এএফসি কাপের প্রাক যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ দল কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারল না। সবুজ-মেরুন জিতল ৫-০ ব্যবধানে। জোড়া গোল করলেন জনি কাউকো এবং মনবীর সিংহ। গোল না করলেও গোটা ম্যাচে অনবদ্য খেললেন হুগো বুমোস। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রাক যোগ্যতা অর্জন পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী ঢাকার মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান।
ব্লু স্টার দুর্বল হলেও এটিকে মোহনবাগান কোনও ভাবেই শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষকে হালকা ভাবে নিতে চায়নি। তাই ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে যাচ্ছিল তারা। পাঁচ মিনিটেই ডেভিড উইলিয়ামস একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এর সাত মিনিট পরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ব্লু স্টারের সামনে। কিন্তু তারাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
এর পর একতরফা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করল এটিকে মোহনবাগানই। ১৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। ডান দিক মনবীরের বাড়ানো নিখুঁত ক্রস পা ঠেকালেই গোল পেতেন কিয়ান নাসিরি। প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ২৪ মিনিট পর্যন্ত। মাঝমাঠ থেকে একার দক্ষতায় বল নিয়ে বক্সে উঠে এসেছিলেন বুমোস। তাঁর শট আটকে দেন ব্লু স্টার ডিফেন্ডাররা। ফিরতি বল বুক দিয়ে নামিয়ে শট করেছিলেন মনবীর। সেটিও আটকে যায়। সেই বল যায় জনি কাউকোর কাছে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান ফিনল্যান্ডের ফুটবলার।
চার মিনিট পরে আবার গোল। এ বার শ্রীলঙ্কার কাজাকোপানের থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়তে থাকেন মনবীর। নীচু শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ছ’মিনিট আগে তৃতীয় গোল করে এটিকে মোহনবাগান। বুমোসের কর্নার থেকে বল হেড করেছিলেন ব্লু স্টারের এক ডিফেন্ডার। তা যাচ্ছিল বক্সের বাইরে থাকা মনবীরের কাছে। কিন্তু কাজাকোপান হাত দিয়ে সেই বল তাঁর থেকে সরিয়ে দেন। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কাউকো।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই লড়াকু মনোভাব দেখা গেল ব্লু স্টারের। প্রথমার্ধে তুলনায় খেলায় অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ ছিল। মাঝেমধ্যে প্রতি আক্রমণে উঠে বিপদে ফেলে দিচ্ছিল এটিকে মোহনবাগান রক্ষণকে। সুযোগ কাজে লাগালে গোলও পেয়ে যেতে পারত তারা। কিন্তু অনভিজ্ঞতার কারণেই সেটা হয়নি। দলের আসল ফুটবলাররা না থাকার অভাবটা বোঝা গেল। অন্য দিকে, মোহনবাগানকেও কিছুটা হাল ছাড়া মনোভাব নিয়ে খেলতে দেখা যায়। তবু সবুজ-মেরুন ব্যবধান বাড়িয়ে নিল ৭৭ মিনিটে। মাঝ মাঠে বুমোসের থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত ধরে উঠে এসেছিলেন মনবীর। নীচু ক্রস করেন। বক্সে উইলিয়ামসকে ঘিরে ছিলেন তিন জন ডিফেন্ডার। কিন্তু সবাইকে পেরিয়ে অনায়াসে গোল করে যান অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার। ৮৯ মিনিটে বুমোসের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল মনবীরের।