গোলের উচ্ছ্বাস আর্জেন্তিনা শিবিরে। ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দখল নিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের দুই জায়ান্ট। ফুটবল ফ্রেন্ডলিতে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিল। শেষ হাসি অবশ্য হাসল মেসি অ্যান্ড ব্রিগেড। ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ব্রাজিলকে। এ যেন নতুন কোচের হাতে পরে বদলে যাওয়া আর্জেন্তিনা। ২০১২ পর সাম্পাওলির হাতে পরে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পেল আর্জেন্তিনা। আর্জেন্তিনার পরের ফ্রেন্ডলি সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে। এর পর আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে পর পর বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচ। ব্রাজিল পরের ফ্রেন্ডলি খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এর পর একইভাবে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচ খেলতে হবে ব্রাজিলকে।
আরও খবর: ফুটবল মাঠ থেকে শান্তির বার্তা, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
এ দিন শুরুটা করেছিল ব্রাজিলই। কুটিনহোর শট পোস্টে না লাগলে ম্যাচ শুরুর ছ’মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলত ব্রাজিল। কিন্তু তেমনটা হল না। এই ম্যাচেই সিনিয়র দলে অভিষেক হল আর্জেন্তিনার গোমেজের। রাইট উইংয়ে তাঁর উপর ভরসা রেখেছিলেন সাম্পাওলি। এর পর থেকে ম্যাচের গতি নিজেদের দিকে ঘোরাতে শুরু করে আর্জেন্তিনা। এর মাঝেই ২২ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন সেই কুটিনহো। মেসি পা থেকে গোল না এলেও তাঁকে পাওয়া গেল স্বাভাবিক ছন্দেই। কিন্তু যখন আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ালেন মেসি তখনই ডি মারিয়ার অফফর্ম খেলাকে কিছুটা মন্থর করে দিল। তখনই বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা গেল ব্রাজিলকে। যে কারণে ব্রাজিলের রক্ষণ ভাঙতে আর্জেন্তিনার লেগে গেল ৪৫ মিনিট।
আর্জেন্তিনা গোলে ব্রাজিলের আক্রমণ। ছবি: এএফপি।
প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগেই বাজিমাত আর্জেন্তিনার। শর্ট কর্নার থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ডি মারিয়া। মারিয়ার ক্রস পৌঁছে যায় ওটামেন্ডির কাছে। তাঁর হেড গোলের বদলে গিয়ে লাগে পোস্টে। ততক্ষণে বক্সের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল ইভান মারকাদো। ফিরতি বলে ছ’গজ বক্সের মধ্যে থেকেই ফাঁকা গোলে বল ঠেলেন মারকাদো। এখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন কুটিনহো। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ৬২ মিনিটে উইলিয়ানের শট আবারও পোস্টে লেগে ফেরে। ৭৮ মিনিটে আবারও সুযোগ চলে এসেছিল উইলিয়ানের কাছে। কিন্তু এই দিন ব্রাজিলের ছিল না। ১-০ গোলে জিতেই এদিন মাঠ ছাড়ল আর্জেন্তিনা।