ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
দু’ম্যাচে চার গোল, ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশে লিখে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। মরক্কোর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও ম্যাচের শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন। ভাগ্যিস শুরুতেই রোনাল্ডোর পা থেকে গোলটা এসে গিয়েছিল। না হলে আবারও হয়তো ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হত।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো সময়টাই খেলল মরক্কো। ব্যস্ত থাকতে হল পর্তুগাল রক্ষণকে। কিন্তু ফিনিশারের অভাবে গোলের মুখ খুলতে পারল না মরক্কো। দ্বিতীয় গোলও হল না ম্যাচে। ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই দুরন্ত গোলে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন সেই রোনাল্ডো। কর্নার থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন জোয়াও মোটিনহো। বক্সের ভিতর থেকে জটলার মধ্যেই রোনাল্ডোকে লক্ষ্য করে মোটিনহো বল বাড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই রোনাল্ডোর হেডে গোল।
প্রথমার্ধ ১-০ গোলে শেষ হওয়ার পর ভাবা হয়েছিল গোলের ব্যবধান ঠিকই বাড়িয়ে নেবে রোনাল্ডো অ্যান্ড টিম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়েই থাকল মরক্কো। কিন্তু গোল করতে পারল না। পর পর আক্রমণেও শেষ পর্যন্ত শুধু গোলের মুখ খুলল না। একমাত্র ফিনিশারের অভাবে। মরক্কো কোচকে হয়তো এ বার স্কোরারের কথা ভাবতে হবে। এর মধ্যেই বক্সের বাইরে বার দু’য়েক ফ্রিকিক পেল পর্তুগাল। কিন্তু রোনাল্ডোর প্রথম ম্যাচের ক্যারিশমা এই ম্যাচে দেখা গেল না। সবগুলোই বাইরে গেল বা আটকে গেল ওয়ালে।
আরও পড়ুন
রাশিয়ার মাঠে কেন আলাদা জল খেতে হচ্ছে মার্কেজকে
প্রথম ম্যাচ স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করে দ্বিতীয় ম্যাচেই ১-০ গোলে জয় তুলে নিল পর্তুগাল। সেই রোনাল্ডোর গোলেই। চার পয়েন্ট নিয়ে শেষ ১৬র রাস্তা খোলা থাকল পর্তুগালের। মরক্কোর এখান থেকে ফেরা মুশকিল।
(এই খবরে প্রথমে রোনাল্ডো শটে গোল করেছিলেন বলে লেখা হয়। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।)