দুঃসময়
দুর্নীতি কেলেঙ্কারির আঁচে বিপর্যস্ত ফিফা নেতৃত্বের অন্দরমহল।
শুধু সেপ ব্লাটারই নন। এ বার সেক্রেটারি জেনারেল জেরম ভালকে এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনিকেও ৯০ দিনের জন্য প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করল ফিফা।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার ‘এথিকস’ কমিটি সাসপেন্ড করার পাশাপাশি তিন জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়ানোর তদন্তও চালাচ্ছে। সে রকমই জানাচ্ছে ব্রিটিশ মিডিয়া। পাশাপাশি ফিফার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট চুং মোং জুন-কে ছ’বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে এই কমিটি। ব্লাটার নির্বাসিত থাকাকালীন অস্থায়ী ভাবে ফিফা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনসের প্রধান ইসা হায়াতো। আর প্লাতিনির জায়গায় উয়েফা প্রেসিডেন্টের অস্থায়ী দায়িত্ব সম্ভবত নেবেন স্পেনের অ্যাঞ্জেল মারিয়া ভিলার।
এখনও প্লাতিনি এবং চুং দু’জনই অবশ্য আশায় ফেব্রুয়ারিতে ব্লাটার পাকাপাকি সরার পর ফিফার নতুন প্রেসিডেন্ট পদে বসতে পারেন তিনি। হায়াতো আবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি শুধু অন্তর্বর্তীকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দায়িত্ব নিচ্ছেন, নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন না।
কিন্তু কেন তিন শীর্ষ ফিফা কর্তার বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল। এথিকস কমিটি জানিয়েছে, তাদের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই এ রকম সিদ্ধান্ত। নির্বাসিত ৯০ দিন বিশ্ব ফুটবলের কোনও কাজে জড়িত কোনও থাকতে পারবেন না তিন শীর্ষ কর্তা। যদিও তিন জনই দাবি করছেন, তাঁরা নির্দোষ।
ব্লাটারের আইনজীবী আবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এথিকস কমিটির সিদ্ধান্তে বর্ষীয়ান ফুটবল প্রশাসক ‘হতাশ’। ব্লাটারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়ে কমিটি নিজের নিয়মই মানেনি বলে দাবি ব্লাটারের আইনজীবীর। সঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট ব্লাটার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন যে, তিনি কোনও বেনিয়ম বা অন্য কিছুতে জড়াননি।’’
৭৯ বছরের বিতর্কিত ফুটবল প্রশাসকের বিরুদ্ধে গত মাসে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল ফৌজদারি তদন্ত শুরু করার পরই ফিফার এথিকস কমিটি তাদের তদন্ত শুরু করেছিল। ব্লাটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমন চুক্তিতে সই করা যা ফিফার পক্ষে যায়নি। পাশাপাশি প্লাতিনিকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অর্থ দেওয়ার অভিযোগও আছে। ব্লাটারের পরামর্শদাতার কাজ করার ন’বছর পর প্লাতিনিকে এই অর্থ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।