লোকেশ রাহুল। ছবি: রয়টার্স।
ভালই খেলছিলেন। ব্যাট হাতে রানও আসছিল। কিন্তু কেন যে ওই পুল শটটা নিতে গেলেন। দিনের শেষে আফসোসটা শোনা গেল লোকেশ রাহুলের গলায়। বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে বল করছিলেন জোস হ্যাজেলউড আর কামিন্স। আমি বলতে পারি কঠিনতম স্পেল ছিল ওটা। টেস্ট ক্রিকেটে এরকম পাইনি আগে।’’ কঠিন বল সামলে ভলই এগোচ্ছিলেন কিন্তু একটা ভুল শটই শেষ করে দিল। ৬০ রান করেও ফেলেছিলেন। বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম আমি শটটা নিতে পারব। পিছনে কোনও ফিল্ডার ছিল না। শট নেওয়াটা ভয়ঙ্কর ছিল কিন্তু লক্ষ্যটা সঠিক ছিল। আমি যেটা ভেবে শটটা নিয়েছিলাম সেটা হয়নি।’’
আরও খবর: বড় রান নেই কারও ব্যাটে! ধর্মশালায় চাপে ভারত
দ্বিতীয় ইনিংসে একইভাবে এই শটকে কাজে লাগাতে চান লোকেশ। পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি লেখা হয়ে গিয়েছে নামের পাশে। চেতেশ্বর পূজারা ছাড়া আর তিনিই যাঁর ব্যাট থেকে আসছে ধারাবাহিক রান। যদিও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আফসোস নেই লোকেশের। বলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী আমার কোনও আফসোস নেই। হতাশা আছে যে ভাবে শুরু করেছিলাম সে ভাবে চালিয়ে বড় রান না করতে পারার। একজন ওপেনার হিসেবে আমার দায়িত্ব যতক্ষণ সম্ভব ক্রিজে টিকে থেকে প্রথম ইনিংসেই বড় রান তুলে আনা যাতে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে না হয়।’’
আউট হয়ে গেলেও ধর্মশালার উইকেটের প্রশংসা করতে ভোলেননি রাহুল। বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এটাই সেরা উইকেট। এখানে স্পিনার, পেসার দু’জনের জন্যই উপাদান রয়েছে। সারাদিন বল সুইং করছে। কিছক্ষণ টিকে গেলে ব্যাট করার জন্যও অসাধারণ উইকেট। আমরা সকলেই শুরুটা করেছিলাম ভাল কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারলাম না।’’ সিরিজে ৩০০ রানও করে ফেলেছেন। যদিও তার জন্য আলাদা কিছু করতে হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। হ্যাজেলউড আর কামিন্সকে ফেস করা যতটা কঠিন ততটাই উপভোগ্য বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। কিন্তু শেষ টেস্টে বিরাট কোহালির না থাকাটাও দলের জন্য হতাশার। এই কোহালির অধিনায়কত্বেই বেশিরভাগ সময় খেলেছেন রাহুল। বলেন, ‘‘আমরা বিরাটকে খুব মিস করেছি।আমরা সকলেই ওর নেতৃত্বে খেলেছি। ওর মাঠে থাকাটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ও সব সময় উদাহরণ তৈরি করে। কখনও কখনও নিজেদেরও সেই দায়িত্বটা নিতে হয়।’’