ইউরোপা লিগের ফাইনালেও সেই ইংল্যান্ডের দু’দল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেতাবি দৌড় থেকে বহুদিন আগেই ছিটকে গিয়েছে আর্সেনাল। শেষ চারটি ম্যাচে জিততেও পারেননি মেসুত ওজ়িলেরা। অথচ ইউরোপা লিগে দুরন্ত ছন্দে তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০৩:৩৬
Share:

উল্লাস: দুরন্ত জয়ের পরে আর্সেনাল ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। গেটি ইমেজেস

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরে এ বার ইউরোপা লিগেও ‘অল ইংল্যান্ড’ ফাইনাল। বৃহস্পতিবার রাতে ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দেয় আর্সেনাল। ঘরের মাঠে আইনথ্রাখটকে টাইব্রেকারে হারাল চেলসি।

Advertisement

১৯৭২ সালে প্রতিযোগিতার অভিষেকের বছরেই শেষ বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ও উলভস। তখন অবশ্য নাম ছিল ইউরোপা কাপ। ফাইনালও দুই পর্বে হত। প্রথম পর্বে উলভসকে ২-১ হারিয়েছিল টটেনহ্যাম। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বে ১-১ ড্র করেছিল হ্যারি কেন-দের ক্লাব। তবে দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টটেনহ্যাম।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেতাবি দৌড় থেকে বহুদিন আগেই ছিটকে গিয়েছে আর্সেনাল। শেষ চারটি ম্যাচে জিততেও পারেননি মেসুত ওজ়িলেরা। অথচ ইউরোপা লিগে দুরন্ত ছন্দে তাঁরা। সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে ভ্যালেন্সিয়াকে ঘরের মাঠে ৩-১ হারান তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় পর্বে আরও ভয়ঙ্কর দেখায় আর্সেনালকে। নেপথ্যে পিয়ের এমরিক আবুমেয়ংয়ের হ্যাটট্রিক। যদিও ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় আর্সেনাল। ১১ মিনিটে গোল করে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন কেভিন গ্যামেহো। ছয় মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান আবুমেয়ং। ৫০ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন আলেকজান্দ্রো ল্যাকাজ়েত। যদিও স্বস্তি দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। ৫৮ মিনিটে ফের কেভিনই সমতা ফেরান। কিন্তু ৬৯ ও ৮৮ মিনিটে গোল করে ম্যাচের রং বদলে দেন আবুমেয়ং।

Advertisement

২০০৮ থেকে ’১২ ভ্যালেন্সিয়ার দায়িত্বে ছিলেন আর্সেনাল ম্যানেজার উনাই এমেরি। পুরনো দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি। ম্যাচের পরে এমেরি বলেছেন, ‘‘ফুটবলার ও সমর্থকদের জন্য আমি গর্বিত।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘শুরুতেই পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও আমরা নিজেদের চাপমুক্ত রাখতে পেরেছিলাম। আমরা জানতাম, যে কোনও পরিস্থিতিতে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’ গত মরসুমে আতলেতিকো দে মাদ্রিদের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল আর্সেনাল। ম্যাচের নায়ক আবুমেয়ং বলছেন, ‘‘গত বছরের ব্যর্থতা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। লক্ষ্য ছিল, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা।’’

চেলসির জয়ের নায়ক গোলরক্ষক কেপা আরিথাবালাগা। সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে আইনথ্রাখটের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেছিলেন এডেন অ্যাজ়ারেরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেও ছবিটা বদলাল না। ২৮ মিনিটে রুবেন লফটাস চিক গোল করে এগিয়ে দেন চেলসিকে। ৪৯ মিনিটে সমতা ফেরান লুকা ইয়োভিচ। অতিরিক্ত সময়েও কোনও দল গোল করতে পারেনি। দুই পর্ব মিলিয়ে ফল ২-২ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আইনথ্রাখটের দু’টো শট বাঁচিয়ে দেন কেপা। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। চেলসির হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন রস বার্কলে, জর্জে ফিলহো, দাভিদ লুইস ও এডেন অ্যাজ়ার। গোল করতে পারেননি সিজার আতপিলিকুয়েতা।

ম্যাচের পরে চেলসি ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি বলেছেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই ছন্দটা ধরে রাখতে পারিনি। তাই দশ মিনিটের মধ্যেই গোল খাই। অতিরিক্ত সময়ে আবার আমরা ভাল খেলেছি।’’

বাকুতে ২৯ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে কে জিতবে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement