সাম্বা ঝড়কে ভয় পাচ্ছেন না ব্রিটিশ সমর্খকরা।
‘ইংল্যান্ড #ইয়ংলায়ন্স’ লিখে টুইট করেছেন ব্রুস বাকনেল।
কলকাতায় ব্রিটেনের ডেপুটি হাই কমিশনার ব্রুস লিখছেন, ‘খুদে সিংহেরা এগিয়ে যাও! তবে সাবধান, কলকাতার জনতা কিন্তু ব্রাজিলকে সমর্থন করবে। ব্রিটেনের কূটনীতিকের চাকরি ছেড়ে নিজের সংস্থা গড়ে কলকাতায় থিতু পল ওয়ালশেরও এটাই আফসোস! হেসে বলছেন, ‘‘এমনই কপাল, যাদের সঙ্গে ম্যাচটা দেখতে যাব, আমার সেই ভারতীয় বন্ধুগুলোও ব্রাজিলের হয়ে চেঁচাবে।’’
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘কলকাতার এই ব্রাজিলপ্রেম মোটেও অদ্ভূত নয়। লাতিন আমেরিকার কয়েকটা দেশের সঙ্গে রেষারেষি ছাড়া সব দেশই ব্রাজিলের নামে পাগল!’’ তাতে অবশ্য আজ, বুধবার কার্যত প্রতিপক্ষের খাসতালুকের মাঠে যেতে পিছপা নন ব্রুস। বরং তিনি আত্মবিশ্বাসী, ইংল্যান্ড যা খেলছে, তাতে ব্রাজিলের সঙ্গে সমানে-সমানেই পাল্লা দেবে।
কলকাতায় খাঁটি ব্রাজিলীয় এমনিতে হাতে গোনা। তবে বাঙালির ফুটবল গ্যালারির শব্দব্রহ্ম যে ব্রাজিলের সঙ্গেই থাকছে, তাতে সংশয় নেই। ময়দানের ‘সবুজ তোতা’ ব্যারেটোর বন্ধু, আমাজনপারের যুবক এডমার কার্ভালহোর মুখে তাই হাসি। বলছেন, ‘‘জার্মানি-ম্যাচটায় গ্যালারিতে কত লোক যে আমাদের জড়িয়ে ধরল!’ স্ত্রী ডেজি, দুই মেয়ে ও ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন কসবার খুদেদের ফুটবল কোচ এডমার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজ’-এ বাংলার এই ছাত্র আপাতত টিকিটের জন্য ধরেছেন ব্রাজিল টিমে তাঁর বন্ধু-কর্মকর্তাকে!
আরও পড়ুন: তিকি তাকা বনাম শক্তির লড়াই মুম্বইতে
খাঁটি ব্রিটিশ ব্রুস-পলরা কিন্তু সল্টলেক স্টেডিয়ামে ম্যাচ সরে আসায় খুশিও! কারণ, মাঠ ইংল্যান্ডের চেনা। সব ম্যাচ সল্টলেকেই খেলেছে দেশটা। আর গ্রুপ লিগে ইরাক ম্যাচ বাদ দিলে, সব ক’টাই গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ডেপুটি হাইকমিশনার। বার্কশায়ারের রেডিং শহরের ভূমিপুত্র ব্রুসের উত্তেজনার আর একটা কারণ, এই টিমের ড্যানি তাঁর শহরের মানুষ।
কলকাতার মধ্যে ব্রিটিশ ফ্যানদের ছোঁয়াচ পাচ্ছেন ব্রুস-পলরা। পল বললেন, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। এক বার সল্টলেকের মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছি! হঠাৎ কে একজন হাতে লাল-হলুদ ফ্ল্যাগ ধরিয়ে গেলেন।’’ তাতেই ইস্টবেঙ্গল-প্রেম। এডমার আবার কড়া মোহনবাগানি।
বড় ম্যাচের আদলেই বিশ্ব ফুটবল আবেগের শরিক মহানগর।