সামনে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের জন্য ছিল পুরো পয়েন্ট তুলে নেওয়ার সব থেকে বড় সুযোগ। একটি ম্যাচ হেরে ও একটি ম্যাচ জিতে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা ইংল্যান্ড সহজেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল। আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিল ১৫ রানে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইওন মর্গ্যান। যদিও দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় দুর্বল দলের বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে ব্যর্থ রুট, বাটলাররা। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানই তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন মইন আলি। দুই ওপেনার জেসন রয় ৫ ও জেমস ভিনস ২২ রান করে আউট হয়ে গেলে পর পর উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে টেনে তোলেন মইন আলি। জো রুট ১২ রান করে রান আউট হন। কোনও রান না করেই ফেরেন মর্গ্যান। স্টোকস, বাটলারের সংগ্রহ যথাক্রমে ৭ ও ৬। এর পর মইন আলির সঙ্গে আট ও নয় নম্বরে নেমে দলের ইনিংসকে ভরসা দেয় জর্ডনের ১৫ ও উইলির ২০ রান। আফগানিস্তানের হয়ে দুটো করে উইকেট নেন মহম্মদ নবি ও রশিদ খান। একটি করে উিকেট আমির হামজা ও সামিউল্লা শেনওয়ারি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়াই দিয়েও জয় তুলে আনতে পারল না আফগানিস্তান। শেষ মুহূর্তে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির ঝড় তুললেও জয় এল না। বিদায় গণ্টা বেজে গেল আফগানদের। তবে এদিন ইংল্যান্ডকে দুই অর্ধেই বেগ দিল আফগানিস্তান। শাফিকুল্লা ন’নম্বরে ব্যাট করতে এসে করলেন অপরাজিত ৩৫ রান। বাকিরা আর কেউই ৩০ এর কোটা টপকাতে যেতে পারলেন না। আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হল ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটো করে উইকেট নিলেন উইলি ও রশিদ। একটি করে উইকেট জর্ডন, মইন আলি ও স্টোকসের।
আরও খবর
১০০ কোটির ক্লাবে বিরাট কোহলি