—ফাইল চিত্র।
তিপান্ন বছরের বন্ধুত্ব ভেঙে শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান ক্লাবের নিবার্চনে মুখোমুখি স্বপন সাধন বসু (টুটু) ও অঞ্জন মিত্র। প্রায় তিন দশক এক সঙ্গে ক্লাব পরিচালনার পরে মঙ্গলবার দু’জনে আলাদা প্যানেল জমা দিলেন। দু’জনেই মনোনয়ন জমা দিলেন সচিব পদে। বিদায়ী কমিটিতে টুটু ছিলেন প্রেসিডেন্ট, অঞ্জন সচিব। দু’জনেই তাঁদের ছেলে ও মেয়েকে দাঁড় করিয়েছেন নিজেদের প্যানেলে। টুটু-পুত্র সৃঞ্জয় দাঁড়িয়েছেন সহ সচিব পদে। অঞ্জন-কন্য সোহিনী মনোনয়ন জমা দিলেন যুব দলের উন্নয়নের সচিব পদে। ২৮ অক্টোবর মোহনবাগানের নির্বাচন। ২২টি পদে নির্বাচন। ক্লাব তাঁবু না নেতাজি ইন্ডোর—প্রায় সাড়ে আট হাজার সদস্য কোথায় ভোট দেবেন, তা নিয়ে এ দিনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পরীক্ষা হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে প্রচুর ভিড় ছিল তাঁবুতে। তবে টুটুবাবুর সঙ্গে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে দুই প্রাক্তন ফুটবলার তালিকায়। দু’জনেই বিরোধী গোষ্ঠীর প্যানেলে। সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছেন কোষাধ্যক্ষ পদে। বিদেশ বসু সচিব-কন্যার বিরুদ্ধে। ১৯৯৫-তে ‘বন্ধু’ অঞ্জনকে সচিব পদ ছেড়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হন টুটু। এ দিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে বলে দিলেন, ‘‘জিতলে আমার প্রথম লক্ষ্য মোহনবাগানকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলানো। না হলে ক্লাব বাঁচবে না।’’ আর অঞ্জন বললেন, ‘‘খেলা চলবেই। ক্লাবে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে আমার লক্ষ্য।’’
ইস্টবেঙ্গল তৃতীয়: কলকাতা লিগে রানার্সও হতে পারল না গত আট বারের সেরা ইস্টবেঙ্গল। পিয়ারলেস মঙ্গলবার ১-০ গোলে এরিয়ানকে হারিয়ে দেওয়ায় তারাই থাকল দু’নম্বরে। ইস্টবেঙ্গল নামল তিনে। পিয়ারলেসকে গোল করে জিতিয়ে আনসুমানা ক্রোমা সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন। এ দিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে চার গোলে হারিয়েও নেমে গেল পাঠচক্র। নেমে গেল এফ সি আই, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং টালিগঞ্জ অগ্রগামীও।