উত্তপ্ত পরিবেশে ক্লাসিকোয় ড্র

ম্যাচের পরে রিয়াল ম্যানেজার জ়িনেদিন জ়িদান জানান, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ম্যাচ ভালয়-ভালয় শেষ হওয়ায় তিনি খুশি। খুশি দলের খেলাতেও। প্রথমার্ধের পরে এক মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৬
Share:

হতাশ মেসি।—ছবি এপি।

সতেরো বছরে প্রথম এল ক্লাসিকো গোলশূন্য ড্র! এবং ফুটবলের থেকেও বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ লড়াইয়ে গুরুত্ব পেল ক্যাম্প ন্যু-র বাইরে ক্যাটালোনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিক্ষোভ। পুলিশ হিমশিম খেল পরিস্থিতি সামলাতে। বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারাও নিল।

Advertisement

স্টেডিয়ামের ভিতরে, ম্যাচে তেমন বড় ঘটনা ঘটেনি। গ্যালারিতেও বিরাট অশান্তি হয়নি। দর্শক ফুটবলটাই দেখে ম্যাচের পরিণতিতে হতাশ হয়েছেন। এই ড্রয়ে দু’দলের পয়েন্ট সমান। ১৭ ম্যাচে ৩৬। তবু গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে লিয়োনেল মেসিরা।

ম্যাচের পরে রিয়াল ম্যানেজার জ়িনেদিন জ়িদান জানান, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ম্যাচ ভালয়-ভালয় শেষ হওয়ায় তিনি খুশি। খুশি দলের খেলাতেও। প্রথমার্ধের পরে এক মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। কিছু দর্শক মাঠে নষ্ট হওয়া বল ছুড়তে থাকায়। পুলিশ দ্রুত সব স্বাভাবিক করেন। যা নিয়ে বার্সা ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে পরে বলেন, ‘‘ম্যাচে উত্তেজনা ছিল। হঠাৎ দেখলাম মাঠে কয়েকটা হলুদ বল পড়তে। আমরা স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপারটা নিয়েছি। মানুষ প্রতিবাদ করেছে। সামাজিক সমস্যা নিয়ে আমার বক্তব্য নেই। খেলা নিয়ে একটা কথাই বলব। ম্যাচ ড্র হয়েছে।’’

Advertisement

মাঠে হলুদ বল ফেলার বাইরে ক্যাটালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান ওঠে। গ্যালিরিতে বড় প্ল্যাকার্ডও ছিল। কিন্তু তাতে খেলায় ছন্দপতন ঘটেনি। বার্সা, রিয়াল— দু’দলেরই খ্যাতি আক্রমণে। কিন্তু দিনের শেষে, নায়ক ডিফেন্ডারেরা। বার্সার জেরার পিকে ও রিয়ালের সের্খিয়ো র‌্যামোস গোল লাইন থেকে বল বিপন্মুক্ত করে ত্রাতার ভূমিকা নেন। র‌্যামোস সব চেয়ে বেশি ৪৩ বার ক্লাসিকোয় খেলার রেকর্ড করলেন। তিনিই ৩১ মিনিটে একবার অসাধারণ দক্ষতায় মেসিকে আটকে বার্সার সেরা সুযোগ থেকে গোল হতে দেননি। খেলার শুরুর দিকে মেসির নেতৃত্বে বার্সার আক্রমণ রিয়ালের মাঝমাঠকে চাপে রেখেছিল। মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ক্যাটালোনিয়ার ক্লাবের দিকে ঝুঁকছে। আর রিয়াল-ফুটবলারেরা উচ্চতার সুবিধে নিতে প্রাণপাত করেছেন। ১৭ মিনিটে কাসেমিরোর হেড থেকে গোল হয়ে যাচ্ছিল। শেষরক্ষা করেন পিকে। দ্বিতীয়ার্ধে গ্যারেথ বেলের গোল আগেই অফসাইড হয়েছে জানিয়ে বাতিল করেন রেফারি। আর এক বার বার্সার বক্সে রিয়াল ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেকে বিশ্রী ভাবে ফাউল করা হয়। রিয়ালের পেনাল্টির দাবি রেফারি গুরুত্ব দেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা হয়। সাম্প্রতিক অতীতে বার্সা বনাম রিয়াল লড়াই এত নিষ্প্রাণ দেখায়নি। যাবতীয় উত্তেজনা ছিল স্টেডিয়ামের বাইরে। খেলা শেষ হলে দু’দলের ফুটবলারেরা চুপচাপ মাঠ ছাড়েন। উচ্ছ্বাসের ছিটেফোঁটা ছিল না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement