মিলিয়ে গেল উচ্ছ্বাস

সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে চলছে ইস্টবেঙ্গল বনাম গোকুলম ম্যাচ। আর হাতে রাখা মোবাইলে সরাসরি চেন্নাই বনাম মিনার্ভা। শুরুতেই চেন্নাই সিটি এফসি পিছিয়ে যেতেই উচ্ছ্বাসের জোয়ার। আর কোয়েম্বত্তূরে ম্যাচ ১-১ হতেই সেই উচ্ছ্বাস স্তব্ধ। গোকুলম এগিয়ে যেতে কেউ কেউ দু’হাত জোড়া করে বসে পড়লেন প্রার্থনায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

স্বপ্নপূরণ: আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চেন্নাই দলের উল্লাস। এআইএফএফ

কোঝিকোড় ও কোয়েম্বত্তূর—এক সঙ্গে দু’টি মাঠই যেন শনিবার বিকেলে উঠে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব লনে।

Advertisement

সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনে চলছে ইস্টবেঙ্গল বনাম গোকুলম ম্যাচ। আর হাতে রাখা মোবাইলে সরাসরি চেন্নাই বনাম মিনার্ভা। শুরুতেই চেন্নাই সিটি এফসি পিছিয়ে যেতেই উচ্ছ্বাসের জোয়ার। আর কোয়েম্বত্তূরে ম্যাচ ১-১ হতেই সেই উচ্ছ্বাস স্তব্ধ। গোকুলম এগিয়ে যেতে কেউ কেউ দু’হাত জোড়া করে বসে পড়লেন প্রার্থনায়। ইস্টবেঙ্গল গোল করে সমতা ফেরানো ও লালডানমাউইয়ার গোলে এগিয়ে যেতেই ময়দান কাঁপিয়ে প্রিয় দলের জয়ধ্বনি। শেষ মুহূর্তে হঠাৎ রটে গিয়েছিল ২-২ করে ফেলেছে মিনার্ভা। মুহূর্তে জেগে গিয়েছিল লাল-হলুদ জনতা। কিন্তু চেন্নাই ৩-১ করতেই মিলিয়ে যায় জোশ।

এ ভাবেই শনিবার সন্ধেয় পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের আশা, আবেগ, স্বপ্ন। দুপুর থেকে ক্লাব তাঁবুতে জড়ো হওয়া এই সমর্থকদের কেউ কেউ উৎসবের জন্য পকেটে নিয়ে এসেছিলেন লাল-হলুদ আবীর। কেউ আবার এনেছিলেন আই লিগের সোনালি রেপ্লিকাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই মুঠো মুঠো আবেগ, আবীর গড়াগড়ি খেল রাস্তায়।

Advertisement

ম্যাচ শেষে হতাশায় এদেরই কেউ কেউ বলছিলেন, ‘‘আইজল ও চার্চিলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট না পাওয়ার মাশুল দিতে হল।’’ কেউ সুযোগ নষ্টের জন্য লালডানমাউইয়া রালতেকে বিষোদগার করছিলেন।

এদেরই একজন কেষ্টপুরের বাসিন্দা রজত চক্রবর্তী। তথ্যপ্রযুক্তির এই কর্মী খেলা শেষে বন্ধুকে জড়িয়ে হাউহাউ করে কাঁদছিলেন। সঙ্গে আক্ষেপ, ‘‘আই লিগটা বোধহয় আমাদের কাছে অধরা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিদেশে আবাসিক শিবির, আলেসান্দ্রোর মতো বিদেশি কোচ, এনরিকে-কোলাদো-জনির মতো ফুটবলার। এত বিদেশি সরঞ্জাম নিয়ে আধুনিক অনুশীলন। এর পরেও লিগ পেলাম না।’’ বেহালার অনুপম দাসের আক্ষেপ, ‘‘কবে এমন সুযোগ আবার আসবে কে জানে!’’
এরই মাঝে আশাবাদীরাও রয়েছেন। এদেরই একজন যাদবপুরের শ্রীমন্ত মুখোপাধ্যায়। প্রিয় দল লিগ না পেলেও হাসি মুখে সমর্থক পরিবৃত হয়ে তিনি বলে গেলেন, ‘‘লিগ পেলাম না ঠিক আছে। মোহনবাগানকে তো জোড়া ডার্বিতে হারিয়েছি। এটাই দুঃখ ভুলিয়ে দিচ্ছে। আসছে বছর লিগ নিয়েই তাঁবুতে ঢুকবেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement