অগ্নিগর্ভ লাল-হলুদ অন্দরমহল। সতর্ক মোহনবাগান শিবির।
শিলিগুড়ির ডার্বিতে জয়ের পরে ড্রেসিংরুমে উৎসবে মেতেছিলেন সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি-রা। খোলা হয়েছিল শ্যাম্পেনের বোতল। কিন্তু পরের ম্যাচেই লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল তাঁরা। রবিবার কটকে দুরন্ত জয়ের পরে তা-ই কোনও উচ্ছ্বাসই নেই সবুজ-মেরুন শিবিরে। সনি বললেন, ‘‘ডার্বি জিতে লক্ষ্যের দিকে এক পা এগিয়েছি শুধু। আমাদের কাজ কিন্তু এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কেউ ভুলিনি মাত্র এক পয়েন্টের জন্য আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা। ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারানোই একমাত্র লক্ষ্য আমাদের।’’
রবিবাসরীয় ডার্বিতে গোল না পেলেও হতাশ নন সনি। বললেন, ‘‘আমার গোলের চেয়েও দলের জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ভাল খেলেছে। কিন্তু ম্যাচের ফলটাই আসল।’’
আজ, সোমবার বিকেলের উড়ানেই কলকাতায় ফিরছে মোহনবাগান। ১৭ মে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে বলবন্ত সিংহ-দের। মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনের প্রধান চিন্তা এখন ফুটবলারদের ক্লান্তি। এএফসি কাপের ম্যাচে প্রথম অধিকাংশ ফুটবলারকেই বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সঞ্জয় বললেন, ‘‘সাত দিনে চারটি ম্যাচ খেলা খুব কঠিন। এই ধরনের ক্রীড়াসূচিতে একা আমাদের নয়, অন্যদেরও ভুগতে হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: দুই পাসেই শেষ ইস্টবেঙ্গল
টানা দু’টো ডার্বিতে হেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আবহ। ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য তিন বিদেশি উইলিস প্লাজা, ওয়েডসন আনসেলমেকে মূলত কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। তাঁদের দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আগামী মরসুমে ওয়েডসন, প্লাজা ও বুকেনিয়া-কে না রাখার সিদ্ধান্ত রবিবারই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য দাবি করলেন, ‘‘আমরাই আধিপত্য নিয়ে খেলেছি। কিন্তু একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি। এই কারণেই মোহনবাগান ভাল না খেলা সত্ত্বেও জিতে গেল।’’