লক্ষ্য: মহমেডানের বিরুদ্ধে হার বাঁচিয়েছিলেন প্লাজা। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ টালিগঞ্জ অগ্রগামী। তার পরেই মহারণ। ডার্বি জয়ের মরিয়া আমনা-রা বিশ্রাম ভুলে অনুশীলনে। নিজস্ব চিত্র
এক ডার্বি শেষ হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আর এক ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল।
আর তা হল প্রচারমাধ্যমকে দূরে সরিয়ে। শনিবার কল্যাণীতে মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র হওয়ায় চুলোভাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাই রবিবার সকালেই দলের অনুশীলন ডেকেছিলেন তিনি। সেখানেই ‘রিকভারি সেশন’-এর পর অর্ণব মণ্ডল, উইলিস প্লাজাদের নিয়ে মোহনবাগান ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দেন খালিদ।
মহমেডানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল লেফট ব্যাক লালরামচুলোভা নিজের জায়গায় থাকছিলেন না। বার বার ভিতরের দিকে সরে আসছিলেন। এমনকি দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল ও কার্লাইল ডিয়ন মিচেল-এর মধ্যেও দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। কল্যাণীর মাঠ বড় হওয়ায় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও মহম্মদ আল-আমনা এবং মহম্মদ রফিকের মধ্যেও দূরত্ব বাড়ছিল দ্বিতীয়ার্ধে। যার সুবিধা নিয়ে গিয়েছে মহমেডান। এ দিন রিকভারি সেশন-এর পর আমনাদের নিয়ে মাঠের মধ্যে বসেই ডার্বির জন্য বিশেষ ক্লাস নেন খালিদ। সেখানেই মহমেডানের ম্যাচের এই ভুলত্রুটি উল্লেখ করেন তিনি। কী করা গেলে এই ভুলগুলো এড়ানো যেত তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, শিলিগুড়িতে এই ভুল ফের হলে লিগ হাতছাড়া হয়ে যাবে।
তবে ডার্বির আগে মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ রয়েছে সুভাষ ভৌমিকের টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কল্যাণীতে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া যাবে না বলে সেই ম্যাচ সরে এল ইস্টবেঙ্গল মাঠে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘নিরাপত্তার কারণেই ম্যাচ সরাতে হল কল্যাণী থেকে। প্রথমে বারাসতের কথা ভাবা হলেও তার পরেই ইস্টবেঙ্গল মাঠে ম্যাচ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়।’’
কল্যাণী থেকে ম্যাচ সরায় ক্ষুব্ধ স্টেডিয়াম কমিটির চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘টিকিট ছাপা হয়ে গিয়েছিল। আচমকা আজ ডেকে বলা হয় ম্যাচ সরছে। এর আগে ডার্বি ভেস্তে গিয়েছিল। এ বার ফের ম্যাচ সরে গেল কল্যাণী থেকে।’’