আইপিএল এবং পুরভোটের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে গেল আই লিগ। সমস্যায় ইস্ট-মোহন।
আইপিএলের উদ্বোধনের প্রস্তুতির জন্য পয়লা এপ্রিল থেকে যুবভারতীর নিয়ে নেবে নাইট রাইডার্স। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে ৭ এপ্রিল। সে সময় আবার আই লিগের সূচি অনুযায়ী ৩ এপ্রিল মোহনবাগান-সালগাওকর এবং ৮ এপ্রিল মোহনবাগান-লাজং ম্যাচ রয়েছে যুবভারতীতে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে এই দু’টি ম্যাচ সবুজ-মেরুন কর্তাদের স্থানান্তরিত করে নিয়ে যেতে হবে বারাসতে। পুরভোটের জন্য বিধাননগর পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে ইস্টবেঙ্গলের মোট তিনটি ম্যাচ নিয়েও হঠাত্-ই জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আই লিগের দু’টি ম্যাচ (১৮ এপ্রিল-- মুম্বই এফসি, ২৫ এপ্রিল-- ডেম্পো) এবং এএফসি কাপের ম্যাচ (২৮ এপ্রিল জোহর দারুল তকজিম)।
এই ঘটনায় মোহনবাগান অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এমন কী ক্লাব সচিব জানিয়ে দিয়েছেন, কার্যকরী কমিটি চাইলে তারা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন। “ক্রিকেটের জন্য ফুটবলকে সরে যেতে হবে। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনী কী বা হতে পারে। আগে থেকে আই লিগের সূচি তৈরি। হঠাত্ করে আইপিএলের উদ্বোধনের সূচি গজিয়ে গেল। যদি কার্যকরী কমিটি চায় তবে আমরা এর জন্য আদালতে যেতে পারি।” কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন মোহনবাগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যুবভারতীর দায়িত্ব নিয়মানুযায়ী তাঁরই হাতে রয়েছে। যিনি এ দিন আবার বিকেলে ছিলেন অঞ্জনবাবুর ঘরে। আদালতে গেলে তো সেটা অরূপবাবুর বিরুদ্ধেই যায়! তবে মোহনবাগান যেহেতু আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে রয়েছে, সে জন্য ‘বিপ্লবী’ হয়েও সতর্ক কর্তারা। প্রতিবাদী হয়েও অঞ্জনবাবু তাই বলেছেন, “ফুটবলাররা চাইলে বারাসতে খেলা হবে। আর ওরা ওখানে খেলতে না চাইলে তখন ভাবতে হবে।” অরূপের রাতে দাবি, “অঞ্জনদা বারাসতে খেলতে রাজি হয়েছেন।”
ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারও পুরো ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ। বলে দিয়েছেন, “ভোট পূজো, ঘেঁটু পুজোর জন্য সবার আগে ফুটবলের উপরই কোপ পড়ছে। ফুটবলকে হত্যা করার প্ল্যান এ সব।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিধান নগর পুলিশ অনুমতি দিলে নিজস্ব নিরাপত্তা দিয়ে এই তিনটি ম্যাচ যুবভারতীতে করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। এ বিষয়ে তারা বিধান নগর পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে। যদি পুলিশ রাজি না হয় তা হলে এএফসি-র ম্যাচ হবে না। বড় জরিমানার মুখে পড়তে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। শোনা যাচ্ছে সেটা দশ হাজার ডলারের কাছাকাছি।