এ ভাবেই সাজছে অ্যাডিলেড স্টেডিয়াম। ছবি: টুইটার
ক্রিকেটবিশ্ব দিন গুনতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকে। শুক্রবার থেকে টিম ইন্ডিয়াও বিশ্বকাপ কাউন্টডাউন শুরু করে দিল। করে দিল, অ্যাডিলেডে ভারতীয় হাই কমিশনে ডিনারের পরেই।
কড়া প্রোটোকলে আয়োজিত এই ডিনারে ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় সুধীর ভারতীয় টিমের কাছে আবদার করে ফেললেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে তিন নম্বর বিশ্বকাপটা দেখতে চান। ২০০৭-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এসেছে, তার পর ওয়ান ডে-তেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত ২০১১-এ। এ বার যেন সেই ট্রফি ভারতের হাতছাড়া না হয়। তার আগে টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী, টিম ম্যানেজার বিশ্বরূপ দে-সহ সবাইকে চন্দন-ফোঁটা দিয়ে অভ্যর্থনা করা হয়। পরিয়ে দেওয়া হয় তেরঙা পাগড়ি। আবহসঙ্গীতে তখন— জনগণমন।
প্রবাসে এক টুকরো ভারতের খোঁজ পেয়ে নাকি অভিভূত ধোনিরা। বিশেষ করে এমন উষ্ণতার ছোঁয়ায়। এবং তাঁরা কয়েক বার বলেনও যে, এই অনুষ্ঠান তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছে। বলেন, আজ থেকে মনে হচ্ছে কাপ-কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। এত দিন অস্ট্রেলিয়ায় কাটিয়ে দেওয়ার পর আজই প্রথম নাকি তাঁদের প্রবল ভাবে মনে হচ্ছে, বিশ্বযুদ্ধ আর দিনকয়েক পরেই।
দিনদুয়েক ছুটির পর যে যুদ্ধের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে ভারতীয় শিবিরে। এ দিন সকালে নেটে ব্যাটিং করতে দেখা গেল চোটগ্রস্ত দুই ‘সৈন্য’ রবীন্দ্র জাডেজা এবং রোহিত শর্মাকে। ইশান্ত শর্মা আর ভুবনেশ্বর কুমারও ছিলেন প্র্যাকটিসে। ওয়ার্ম আপ করেন চোট পাওয়া দুই পেসার, তবে নেটে খুব বেশি সময় কাটাননি দু’জনেই। ধোনির সঙ্গে স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চার পার্কে কাটানো দু’দিনে নাকি তাঁরা সবাই-ই বেশ ক্লান্ত। শোনা গেল, ট্রেকিং করতে কোনও অসুবিধে হয়নি ধোনিদের। কিন্তু সমুদ্রে মাছ ধরার অভিজ্ঞতার রেশ কাটিয়ে উঠতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা। সমুদ্রের ঢেউয়ে ক্রমাগত দুলতে থাকা ইয়টে খুব বেশি সময় কাটাতে হওয়ায় তাঁরা ‘সি-সিক’ হয়ে পড়েন। সেই বিবীমিষা নাকি খুব সহজে কাটেনি। তবে এখন তাঁরা অনেকটাই চাঙ্গা।
যা না হয়ে উপায়ও নেই, কারণ শনিবারই টিম ইন্ডিয়ার ঠাসা সূচি। সকাল ন’টা থেকে দশটা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট নিয়ে বৈঠক। তার পর মিডিয়া সেশন, আইসিসির ফটো শু্যট সেরে দুপুর দুটো থেকে ট্রেনিং। সন্ধে সাতটায় আইসিসির টিম ডিনার। সহজে, শনিবার থেকেই কাপ-গ্রহে পাকাপাকি ভাবে ঢুকে পড়ছে ভারত। শনিবার থেকেই বিশ্বকাপ ধরে রাখার যুদ্ধের কুচকাওয়াজ শুরু করে দিচ্ছেন ধোনিরা। যে যুদ্ধ নিয়ে ডনের দেশের মানুষজনের আগ্রহও কিছু কম নয়। না হলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ম আপ ম্যাচের টিকিটও নিমেষে নিঃশেষ হয়ে যায় আজ! খেলার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই!