ক্ষুব্ধ: চেলসির ব্যবহারে হতাশ দিয়েগো কোস্তা। —ফাইল চিত্র।
দিয়েগো কোস্তার সঙ্গে চেলসির খারাপ সম্পর্ক ঠিক হওয়ার লক্ষণ নেই। ট্রান্সফার ফি নিয়ে দু’তরফে তিক্ততা এসে পড়েছে। কোস্তা মনে করছেন, চেলসি বাড়াবাড়ি রকমের টাকা চাইছে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে।
আতলেতিকো থেকেই চেলসিতে এসেছিলেন কোস্তা। এখন তিনি সেখানেই ফিরে যেতে চান। কিন্তু তার জন্য চেলসি যে টাকা দাবি করেছে, সেটা আতলেতিকো দিতে পারবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। ২৮ বছর বয়সি স্ট্রাইকার বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমি যখন চেলসিতে এসেছিলাম, এর চেয়ে অনেক কম টাকায় ওরা আমাকে নিয়েছিল। এখন আতলেতিকোর কাছ থেকে যে টাকাটা দাবি করছে, সেটা অনেক বেশি।’’
কোস্তা এখন তাঁর দেশ ব্রাজিলে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তের খারাপ সম্পর্কের কথা এখন সকলের জানা। কন্তে টেক্সট মেসেজ মারফত কোস্তাকে জানান, এ বছরে তাঁকে আর স্কোয়াডে রাখা হবে না। তার পরেই কোস্তা জানান, তিনি পুরনো ক্লাব আতলেতিকো দে মাদ্রিদে ফিরে যেতে চান। ও দিকে চেলসির কর্তারা তাঁকে ছেড়ে দিতে নারাজ। তাঁরা বলেছেন, কোস্তাকে চেলসিতেই থাকতে হবে। সেই কারণেই অনেক বেশি দর রাখা হয়েছে তাঁর ট্রান্সফার ফি হিসেবে।
চেলসির এই ব্যবহারকে কোস্তা ‘ক্রিমিনালের মতো’ বলেও বর্ণনা করেন কোস্তা। দাবি করেন, রিজার্ভ দলের সদস্যদের সঙ্গে ট্রেনিং করার জন্য চেলসি তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ছুটি কাটানোর জন্য বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরেও অনুশীলনে না আসার জন্য তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছে। কোস্তা আবার বলছেন, ‘‘আমার জন্য আজকের এই পরিস্থিতি তো তৈরি হয়নি। আমার উপর ছেড়ে দিলে এখন ক্লাবেই থাকতাম। আমি তো এখানেই খেলতে চেয়েছিলাম।’’
আরও বলেছেন, ‘‘এক মাসের উপর হয়ে গিয়েছে, টিমের ট্রেনিং শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি যোগ দিইনি। ছুটি খুব ভাল ব্যাপার কিন্তু বেশি দিনের জন্য হলে ক্লান্তিকর হতে পারে।’’ একই সঙ্গে তিনি এটাও বুঝছেন যে, চেলসিতে ফিরে গেলেই পরিস্থিতি আগের মতো হবে না। কন্তে তাঁর প্রতি বিরূপ, ক্ষুব্ধ। ‘‘ম্যানেজারের সঙ্গে সম্পর্কটা আর আগের মতো হবে না। তাই জানি না ফিরে গিয়েও যদি নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি, সেটা সম্ভব হবে কি না।’’ কন্তে যে তাঁকে টেক্সট করেছিলেন, সেটাই ফাঁস করে দিয়েছিলেন কোস্তা। তাতে আরওই তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ কন্তে। সেটা বুঝতে পারছেন কোস্তাও। বলেছেন, ‘‘জানি না ফিরে গেলে সব কিছু ন্যায়বিচার পাব কি না। তাই চলে যেতে চাইছি।’’