দুশ্চিন্তা: পরিবার দেশে ফিরলেও কলকাতাতেই ডিকা। ফাইল চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের ইউসা কাতসুমি, আল আমনা-সহ সব বিদেশই দেশে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় মোহনবাগানের দুই বিদেশি দিপান্দা ডিকা, কিংগসলে ওবুমেনেমে মরসুম শেষ হয়ে গেলেও ফেরেননি। সাধারণত মরসুম শেষ হয়ে গেলে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরে যান সব দলের বিদেশিরাই। কিন্তু এ বার ক্লাবের ডামাডোলে দুই বিদেশি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই চিন্তায় ছিলেন পরিবার দেশে ফিরে গেলেও তাঁরা থেকে গিয়েছিলেন শহরে।
বকেয়া টাকা চেয়ে ক্লাবে চিঠি দিয়ে মোহনবাগানের অন্য দুই বিদেশি ক্যামেরন ওয়াটসন ও ইউতা কিনওয়াকি দেশে ফিরে গিয়েছেন মরসুম শেষ হওয়ার পরই। আর ডিকা এবং কিংগসলের থেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ দু’জনের সঙ্গেই পারের মরসুমের জন্য চুক্তি করে রেখেছেন মোহনবাগান কর্তারা। সে জন্যই তাদের চিন্তা বেশি।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের কাছ থেকে বেতনের আশ্বাস পাওয়ার পর দু’জনেই জানিয়ে দিলেন এ বার তাঁরা ফিরবেন। এ বারের আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিপান্দা ডিকা বললেন, ‘‘ক্যামেরুনে স্ত্রী, সদ্যজাত সন্তান রয়েছে। ইচ্ছে থাকলেও যাইনি। এই সভার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ বার দেশে ফিরব। বিদেশি এক পুরানো বন্ধুর বাড়িতেও যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’’ আর কিংগসলের মন্তব্য, ‘‘টাকা পাব জানি। তাও ক্লাবে নানা ঝামেলার কথা শুনছিলাম। আজকের পরে স্বস্তি পেলাম।’’ এ বার যে তিনজন বিদেশিকে মোহনবাগান কলকাতা লিগের জন্য সই করিয়েছে তাদের মধ্যে ডিকাই সর্বোচ্চ এক কোটি পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী এবং ফুটবলারদের ডেকেছিলেন ক্লাবে। নতুন মরসুমের পঁচিশ জন চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারের মধ্যে দুই বিদেশি, শিল্টন পালদের নিয়ে মোট দশ জন উপস্থিত ছিলেন। সভায় কর্তারা ফুটবলারদের আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্কে সবার বেতন জমা পড়ে যাবে।