বিরাট কোহালি-মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।ছবি: এএফপি।
হঠাৎই এক সকালে নির্বাচকদের ফোনে খবর আসে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দায়িত্ব যে তাঁরই হাতে আসবে জানাই ছিল। তবুও সেই খবরে ভাললাগার থেকে বেশি ছিল চমক। দায়িত্ব সব সময়ই বিরাট কোহালিকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ভাবেই একদিন টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব হঠাৎ করেই চলে এসেছিল তাঁর কাছে। বলছিলেন, ‘‘এমন সময় টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব এসেছিল যখন আমি টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াই করছি। অ্যাডিলেডে হঠাৎ করেই জানতে পেরেছিলাম ধোনি আর অধিনায়কত্ব করছে না। আমাকে সেই জায়গাটা নিতে হবে। এ বার তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই সেই দায়িত্ব সামলাতে হবে। আমার কাছে গর্বে দিন। একটা সময় শুধু ভাবতাম দেশের জার্সিতে খেলব। সেখান থেকে দেশের অধিনায়কত্ব করাটা বড় পাওনা। আমার উপর ভরসা রাখার জন্য ধোনিকে ধন্যবাদ।’’
যদিও কোহালি মনে করেন ওয়ান ডে ও টি২০তে অধিনায়কত্ব করতে হলে তাঁকে আরও অনেক শিখতে হবে। বলেন, ‘‘আমি নিজের মতো করে তৈরি হচ্ছি। এমএস আমাকে সাহায্য করছে ম্যাচের স্ট্র্যাটেজি, সিচুয়েশনের ব্যাপারে। ও অনেক ভাল জানে। আমাকে গাইড করবে। ও এই অবস্থাটা কাটিয়ে এসেছে। তবে, আমার কাছে সব থেকে বড় প্রাপ্তি হল নতুন দায়িত্ব তাঁর কাছ থেকে পাচ্ছি যে টিমে থাকছে। যে আমাকে সব সময় গাইড করতে পারবে। আর চাপ ছাড়া নিজের সেরাটা দিতে পারবে।’’
যদিও সব কিছুর পর কোহালির মত, এই চাপমুক্ত অবস্থানটাকেই দারুণভাবে উপভোগ করবেন ধোনি। ‘‘ও এখন ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পারবে। ওর সেরাটা দিতে পারবে। উপভোগ করতে পারবে। এমএস ধোনির নামটা এলেই সবার আগে মনে হয় ক্যাপ্টেন। আমার জন্য ধোনি সব সময়ই ক্যাপ্টেন থাকবে। আমি ওঁর নেতৃত্বে খেলা শুরু করেছি। অনেকবার বাদ পড়া থেকে বাঁচিয়েছে আমাকে। ও আমাকে অধিনায়কত্ব দিয়েছে। সেই সম্মানটা দিয়েছে।’’ ধোনি-কোহালির অন ফিল্ড সম্পর্ক এতটাই ভাল যে সেটা একসঙ্গে খেলার সময়ও মাঠেই প্রমাণ হয়। বিরাট অবশ্য জানিয়েই দিলেন ধোনি যেখানে ব্যাট করতে চাইবেন সেখানেই ওকে করতে দেওয়া হবে। বলেন, ‘‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করব ও কোথায় ব্যাট করতে চায়। সেখানেই ওকে ব্যাট করতে দেওয়া হবে। তবে আমি ওকে যতটা চিনি ও বলবে ওর কোনও পজিশনেই আপত্তি নেই। তবে আমি চাইব ধোনি ওপরের দিকে ব্যাট করুক। ধোনির খেলা, ম্যাচ রিডিং সব অসাধারণ। যেটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য অমূল্য।’’
আরও খবর: টেস্ট বোলিংয়ের শীর্ষে সেই অশ্বিন-জাডেজা