বিস্ময়: ব্যাট করার সময় একটি শট নিতে গিয়ে ব্যাটই হাত থেকে বেরিয়ে গেল ধোনির। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
‘মাহি মার রহা হ্যায়’। মাঠের বাইরে থেকে এই স্লোগান ওঠার আগেই ছিটকে গেল মাহির স্টাম্প।
হায়দরাবাদের কাছে ২১ রানে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা ঢুকে পড়ল ঝাড়খণ্ড ড্রেসিংরুমে। অধিনায়ক ধোনি ম্যাচের পর সবাইকে নিয়ে শেষ ম্যাচ জেতার শপথ নিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের নক-আউট পর্বে যাওয়া অনিশ্চিত।
সে সব দুশ্চিন্তা, ব্যর্থতার কষ্ট অবশ্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভুলেই গেলেন হোটেলে ফেরার পথে, টিমবাসে ওঠার সময়। অন্তত শ’পাঁচেক ধোনিভক্ত প্রবেশপথের সামনে দাঁড়িয়ে চেঁচাচ্ছেন ‘ধোনি... ধোনি...ধোনি...ধোনি’। টিমবাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় পর্যন্ত চলল সেই উন্মাদনা। ধোনির মুখে হাসি। হাত নাড়লেন ভক্তদের দিকে তাকিয়ে।
সল্টলেকের যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে টস জিতে এ দিন হায়দরাবাদকে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছিলেন ধোনি। তারা ২০৩ রান তোলে। বি সন্দীপ একাই করেন ১১৩। জবাবে শুরু থেকেই ধাক্কা খায় ঝাড়খন্ড। ১৮তম ওভারে ইশাঙ্ক জাগ্গি আউট হওয়ার পর যখন নামেন ধোনি, তখন দল জয় থেকে ৭৭ রান দূরে। প্রায় ১৮ ওভারের খেলা তখনও বাকি।
প্রথম বল তাঁর প্যাডে। জোরালো আবেদনও হল। আম্পায়ার নীরব রইলেন। উল্টোদিকে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে চলা সৌরভ তিওয়ারি। তাঁকেই বেশিরভাগ সময় স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন ধোনি। উইকেট যে ব্যাটিংয়ের পক্ষে খুব সোজা, তা নয়। বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না। স্ট্রোক নিতে বাড়তি শক্তি লাগছিল ব্যাটসম্যানদের। প্রথম দিকে খুচরো রানই নিচ্ছিলেন ধোনি।
প্রথম বাউন্ডারিটা মারতে নিয়ে নিলেন কুড়িটা বল। বাঁহাতি স্পিনার মেহদি হাসানের বলে নিখুঁত স্কোয়ার ড্রাইভ। সেই মেহদিকেই আবার স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মারলেন। মাঝে ধোনির বিরুদ্ধে ফের হায়দরাবাদের জোরালো আবেদন উঠলে মাঠের বাইরে থেকে এল তার সোচ্চার প্রতিবাদ। বক্তব্যটা যেন এ রকম, এখানে আমরা সবাই ধোনিকে দেখতে এসেছি, আম্পায়ারিং নয়।
সদ্য আইপিএল নিলামে বিশাল অঙ্কের বরাত পাওয়া মহম্মদ সিরাজ-কে ধোনি স্কোয়্যারকাটে বাউন্ডারি মারলেন একবার। সব মিলিয়ে ঘণ্টা খানেক ক্রিজে থাকলেন। তবে সেই চেনা আগ্রাসন দেখা গেল না। মেহদি হাসানের যে বলটাতে বোল্ড হলেন, সেটা পিচে পড়ে অনেকটা নেমে যায়, কাট করতে গিয়ে ঠকে যান ধোনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
হায়দরাবাদ ২০৩ (৫০ ওভার, সুমন্ত ৪৮), ঝাড়খণ্ড ১৮২ (৪৪.৪ ওভার, সৌরভ ১০২)।