ঠোঁটকাটা বলে ক্রিকেটদুনিয়ায় সুপরিচিত ইয়ান চ্যাপেল থেকে ভেবেচিন্তে সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণে পটু সুনীল গাওস্কর। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রশংসায় অকল্যান্ডে শনিবার সবাই উচ্চকিত। সুরেশ রায়নাকেও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন দুই প্রাক্তন মহাতারকাই।
বিদেশে গত কয়েক বছরে ধোনির টেস্ট ক্যাপ্টেন্সির নিটফলের ছবিটা যতই বিবর্ণ হোক না কেন, চ্যাপেলদের বড় ভাই এ দিন নির্দ্বিধায় কবুল করছেন, ওয়ান ডে-তে এমএসডি সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষ। সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলকে চ্যাপেল বলেছেন, “ধোনি যখন ওয়ান ডে-তে ভারতকে নেতৃত্ব দেয় তখন ও সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার। টেস্টের সঙ্গে যাকে মেলানোই যায় না! ওয়ান ডে-তে ধোনি যেন পুরো টিমটাকে চালনা করে ওর নিজের মগজাস্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটের শক্তিতেও।”
গাওস্কর আবার ধোনির ছক্কা মেরে ভারতকে ওয়ান ডে-জেতানোর ব্যাপারটাকে তাঁর একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন। সফল রান তাড়ায় ধোনি ওয়ান ডে ক্রিকেটের চুয়াল্লিশ বছরের ইতিহাসে সর্বসেরাই শুধু নন, শনিবারের জিম্বাবোয়ে ম্যাচ ধরে ন’বার ওভার বাউন্ডারিতে উইনিং স্ট্রোক নেওয়ার অবিশ্বাস্য নজির গড়েছেন। যা নিয়ে গাওস্করের উচ্ছ্বসিত মন্তব্য, “ছক্কা মেরে ভারতকে ওয়ান ডে ম্যাচ জেতানোটা ধোনির একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে! আর ওর যদি সেই ক্ষমতাটা থাকে, তা হলে ওই রকম করবে নাই বা কেন?”
পাশাপাশি বিজিত জিম্বাবোয়ান অধিনায়কের আজকের ইডেন পার্কের সেঞ্চুরিকেও বিরাট শংসাপত্র দিচ্ছেন গাওস্কর। ব্রেন্ডন টেলরের ১১০ বলে ১৩৮ প্রসঙ্গে ভারতের চিরশ্রেষ্ট ওপেনিং ব্যাটসম্যান টিভি চ্যানেলে বলে দেন, “টেলরের ইনিংসটা আমার দেখা সেরা আম্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মধ্যে একটা।” আবার সুরেশ রায়নার ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি সম্পর্কে গাওস্করের মন্তব্য, “আমার কাছে রায়নার সেঞ্চুরির সবচেয়ে বড় তাৎপর্য, একশো পেরনোর পরেও ও এতটুকু ফোকাস হারায়নি। যেটা ওই সময় ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে তো বটেই, রায়নার ব্যাটিং মানসিকতার প্রশ্নেও যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই প্রশংসনীয়।” গাওস্করের মতে ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপে রায়নার সেরা ব্যাটিংটা বেরিয়ে আসে। বলেন, “রায়না যখনই ধোনির সঙ্গে ব্যাট করে সম্পূর্ণ অন্য বস্তু দেখায় ওকে। টেম্পারামেন্টটা পুরো প্রকাশ পায় ক্রিজে।”
গাওস্কর আবার ধোনি-রায়নার ব্যাটিং বিক্রমকে পেরিয়ে আরও একটু গভীরে দেখতে চেয়েছেন। বলেছেন, “তবে মোহিত শর্মার বোলিংকেও এ দিন মনে রাখতে হবে। জিম্বাবোয়ে ব্যাটিংকে যখন আরও বিপজ্জনক দেখাচ্ছিল তখন মোহিত বল হাতে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছে।”