ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি- টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়ে গেলে কী হবে, নতুন একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
কার্লোস ব্রেথওয়েট বনাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
দু’জনে কেউ প্রকাশ্যে বাদানুবাদ বা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েননি। যা হয়েছে, পুরোটাই পরোক্ষ বাগযুদ্ধ। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে, ফ্লোরিডার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে ঘিরে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ভাল অবস্থায় ছিল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়ে দেওয়া গিয়েছিল মাত্র ১৪৪ রানে। রান তাড়া করতে নেমে দু’ওভারে ১৫ রান তুলেও ফেলেছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত কী হত বলা যায় না ঠিকই, কিন্তু আগাগোড়া অ্যাডভান্টেজ ভারতই ছিল। কিন্তু স্রেফ পনেরো মিনিটের ঝড়-বৃষ্টি সব শেষ করে দিয়ে চলে যায়। মাঠের অবস্থা এতই খারাপ হয়ে যায় যে, ম্যাচ শুরু করাই আর সম্ভব হয়নি।
এত পর্যন্ত ঠিক ছিল। বিতর্কিত কিছু কোথাও ছিল না। গণ্ডগোলটা বাধান কার্লোস ব্রেথওয়েট। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক বলে দেন যে, খেলা না হয়ে এক দিক থেকে ভালই হয়েছে। মাঠের কয়েকটা জায়গা ভাল রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। খেলা হলে বরং দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকত। কিন্তু ধোনি আবার সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন যে, খেলা অসম্ভব ছিল, মানতে তিনি রাজি নন। বলে দেন, এর চেয়ে অনেক খারাপ মাঠে তিনি খেলেছেন!
ব্রেথওয়েটের বক্তব্য, মিড অন আর একটা দিকের বোলিং রান আপ ভাল রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। ‘‘ওই অবস্থায় খেলতে নামলে খুব ঝুঁকির হয়ে যেত। বল চেজ করতে গিয়ে কারও মাসল পুল হয়ে গেলে কে বলতে পারে তার কেরিয়ারই শেষ হয়ে যেত না? আমরা শুধু খেলতে চাই না। খেলার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে চাই যে, খেলার মতো উপযুক্ত পরিবেশ-পরিস্থিতিও আছে কী না। দেখি যে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে কী না। আমার মনে হয়নি মাঠটা আর ম্যাচের উপযুক্ত ছিল বলে। আম্পায়ারদেরও তাই মনে হয়েছে।’’
যে মতামত গ্রাহ্যের মধ্যেই আনছেন না ধোনি। ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার বলে দেন, বোলিং রান আপ নয়। যে জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা বোলিং রান আপ থেকে বেশ কিছুটা দূরে। ধোনি তির্যক ভাবে বলে দেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোনও শোয়েব আখতার ছিল না যে ওই কারণে অসুবিধে হত!
‘‘২০১১ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ান ডে সিরিজটা মনে আছে। বলতে গেলে পুরোটাই আমাদের বৃষ্টির মধ্যে খেলতে হয়েছিল। আমার মনে হয় পরিবেশ...’’ কথা অর্ধসমাপ্ত রেখে দেন ধোনি। এবং দ্রুত জুড়ে দেন, ‘‘দেখুন, খেলা হবে কী হবে না, সেই সিদ্ধান্ত আম্পায়ার নেন। আম্পায়াররা আমাদের বলেছিলেন, পরিবেশ একে খারাপ। তার উপর এ রকম অবস্থায় ম্যাচ করানোর মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। পরিবেশের উন্নতি হওয়ার যেহেতু সম্ভাবনা নেই, তাই ম্যাচটাও করা যাবে না। এটা ম্যাচ অফিশিয়ালদের সিদ্ধান্ত। তবে হ্যাঁ, আমি দশ বছর ধরে খেলছি। সোজাসুজি বলছি, এর চেয়ে অনেক খারাপ অবস্থায় খেলেছি আমি।’’