আগামী ২৯ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বির টিকিট বিক্রি হবে বলে সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ কর্তারা। স্টেডিয়াম কাউন্টার ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে টিকিট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ।
রবিবার সকালে ক্রীড়া পরিষদ কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন তিনি। আগেই জানিয়েছিলেন হাজার দশেক টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। এ দিন সংখ্যাটা ১২ হাজারও হতে পারে বলে জানালেন তিনি। শহরের ক্রীড়া পরিষদ নথিভুক্ত ক্লাবগুলিকে ১৫টি করে টিকিট দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। ৪০০ টাকার ভিআইপি টিকিট সাধারণ দর্শকদের জন্য বিক্রি করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সচিব বলেন, ‘‘আমরা নির্ধারিত তারিখ থেকে টিকিট দেব বলে ঠিক করেছি। ১ এপ্রিল পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু টিকিট শেষ হয়ে গেলে আগেও বিক্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’’
স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার জন্য আসন সংখ্যার চেয়ে কম টিকিট বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্টেডিয়ামে ২৯ হাজার দর্শক ধরলেও মোট ২৫ হাজার টিকিট বাজারে ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে দু’দলের টিকিট ভাগ করে দেওয়ার পরে বাকি টিকিট উত্তরবঙ্গের জন্য রাখা হয়েছে। লাইনে দাঁড়ানো জন প্রতি ৪টি টিকিটের বেশি পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ফুটবল সচিব মানস দে। ফোসিন গেটের বাঁ দিকে ইস্টবেঙ্গল ও ডান দিকে মোহনবাগান সমর্থকরা বসবেন বলে ঠিক হয়েছে। মাঠে নিরাপত্তার ব্যপারে কড়াকড়ি করা হবে আগেই বলা হয়েছিল, এদিন জানিয়ে দেওয়া হল, জলের বোতল, খাবারের প্যাকেট সহ একাধিক জিনিস নিয়ে মাঠে ঢোকার ব্যপারেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। পুলিশি নিরাপত্তা তো থাকছেই, সঙ্গে ক্রীড়া পরিষদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরাও প্রতিটি গেটে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দু’দল জানিয়ে দিয়েছে, ৩১ মার্চ দুটি দ’লই এক সঙ্গে সকালের বিমানে শিলিগুড়ি চলে আসবে। দু’দলের জন্য দুটি মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএসএফ কদমতলা এবং রানিডাঙ্গায় এসএসবি ময়দানে অনুশীলনের অনুমতি মিলেছে। তবে কোন দল কোথায় অনুশীলন করবে তা পরে ঠিক করা হবে।