ছেলেকে ফুটবল মাঠেই দেখতে চান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
কিন্তু ছেলেকে গোলকিপার হতে দেবেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিছুতেই না।
রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা চান, তাঁর ছেলে স্ট্রাইকার হবে। বাবার মতোই।
দেশের হয়ে ইউরো, ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ব্যক্তিগত সাফল্য হিসেবে ব্যালন ডি’অর— সব মিলিয়ে ২০১৬ দারুণ গিয়েছে রোনাল্ডোর। এবং মিশরের একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলে দিয়েছেন, ছেলেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে দেখতে চান।
‘‘অবশ্যই আমি চাইব আমার ছেলে তার বাবার মতোই ফুটবলার হোক। আমি জানি এটা খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ। সহজ নয় মোটেই। তবে ওর যা ইচ্ছে ও সেটাই করবে। আমি ওর উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেব না,’’ বলেছেন রোনাল্ডো। সঙ্গে অবশ্য এটাও বলে দিয়েছেন যে, ফুটবলের দিকে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। বলেছেন, ‘‘ফুটবলার হওয়ার জন্য কিছুটা চাপ আমি দেব। তবে গোলকিপার নয়। আমি চাই ও স্ট্রাইকার হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ও যেটা চাইবে, সেটাই হবে। ওটা নিয়ে আমার বিশেষ চিন্তা নেই।’’
ছ’বছরের ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের ফুটবল-পাঠ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন রোনাল্ডো। ছেলের সঙ্গে তাঁর ফ্রি-কিক প্র্যাকটিসের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ছেলের সঙ্গে ওয়ার্ক-আউটও করেন তিনি।
ভবিষ্যৎ নিয়ে রোনাল্ডো চিন্তিত নন। বর্তমানটাও তাঁর বেশ উজ্জ্বল। চিনা ক্লাবের রেকর্ড প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে কী হবে, রিয়াল মাদ্রিদ এবং প্রধান স্পনসর নাইকির সঙ্গে চুক্তির অঙ্ক মিলিয়ে যে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে, তাতে রোনাল্ডোই এই গ্রহের সবচেয়ে ধনী স্পোর্টসম্যান। রিয়াল মাদ্রিদে তাঁর সাপ্তাহিক বেতন তিন লক্ষ ৬৫ হাজার পাউন্ড। নাইকি তাঁকে বছরে দেয় সাড়ে সতেরো মিলিয়ন পাউন্ড। তারা এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে, রোনাল্ডোর সঙ্গে আজীবন এই চুক্তি থাকবে।
কিন্তু রোনাল্ডো নিজের সেরাটা দিয়ে যেতে চান, যাতে এই উপার্জনের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন না ওঠে। ‘‘আরও কয়েক বছর খেলব আমি। এই বয়সে এত বড় অঙ্কের চুক্তি সই করতে পারাটা আশীর্বাদের মতো। এটা আমার জন্য বড় মোটিভেশনও। পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার, নিজের এই মানটা ধরে রাখার,’’ বলছেন একত্রিশ বছরের সুপারস্টার।