সানিয়া মির্জ়া (বাঁ দিকে) ও শোয়েব মালিক। —ফাইল চিত্র।
সানিয়া মির্জ়া নন, অন্য এক জনকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন শোয়েব মালিক। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের এক মাস আগেই এ কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার। তখনই নিজের প্রেমিকার নাম জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদের পরে তাঁদের অনেক পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তেমনই একটি ভিডিয়োতে এই কথা বলেছেন শোয়েব। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শোয়েবের বন্ধু শায়িস্তা লোধি। তিনি শোয়েবকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এমন দু’জনের নাম বলো, যাদের ছাড়া তুমি বাঁচবে না।”
প্রশ্ন শুনে কয়েক মুহূর্ত চুপ করে ভাবেন শোয়েব। তাঁকে ইতস্তত করতে দেখে শায়িস্তা নিজেই জবাব দিয়ে দেন। তিনি বলেন, “একটা নাম ইজ়হান মির্জ়া মালিক (শোয়েব-সানিয়ার ছেলে) আর দ্বিতীয় নাম সুলতানা ফারুক (শোয়েবের মা)।” এই জবাব শুনে শোয়েব বলেন, ‘‘এই নাম দুটো বলার কোনও দরকার ছিল না। এটা সবাই জানে। তার নামটা বলো যার নাম সবাই শুনতে চায়।” সেই সময় পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েবের প্রেমের গুঞ্জন চলছিল। পরে সানাকেই বিয়ে করেন শোয়েব। সেই সময় হয়তো সানার নামই জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সানিয়ার নাম মুখেও আনেননি পাক ক্রিকেটার।
গত বছরের শুরু থেকেই শোয়েব ও সানিয়ার বিচ্ছেদের জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। দু’জন আলাদা থাকছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সানাকে বিয়ের কথা নেটমাধ্যমে জানান শোয়েব। তার পরেই জানা যায়, সানিয়া তাঁকে ডিভোর্স দিয়েছেন। ছেলে ইজ়হান থাকেন সানিয়ার সঙ্গে। বিচ্ছেদের জন্য অবশ্য শোয়েবকেই দায়ী করেছে তাঁর পরিবার। শোয়েবের বোন জানিয়েছেন, দাদার পরকীয়ায় বিরক্ত হয়েই নাকি তাঁকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানিয়া।