আসন্ন আইপিএলের আগেই প্রবেশ করলেন জীবনের আর এক ইনিংসে। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী সাচি মারওয়ার সঙ্গে বিয়েটা সেরে ফেললেন আইপিএলের মঞ্চে বেশ পরিচিত ক্রিকেটার নীতিশ রানা।
২০১৭ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেললেও পরের বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা যায় এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানকে। দলের প্রয়োজনে স্পিন অস্ত্রও ঝালিয়ে নেন মাঝে মাঝেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ৪টি শতরান-সহ ১৭৬৫ রান করে ফেলেছেন তিনি। ইনিই নীতিশ রানা।
দীর্ঘ দিনের বান্ধবী সাচি মারওয়ার সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়েটা সেরে ফেললেন নীতিশ। হাজির ছিলেন দুই পরিবারের সকলেই।
১৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিল্লিতে আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ের এই অনুষ্ঠানে চুটিয়ে মজা করেন নীতিশ ও তাঁর পরিবার। এ দিন দিন সন্ধ্যায় এক ককটেল পার্টিরও আয়োজন করা হয়। খেলার জগতের দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্থ, উন্মুখ চাঁদ প্রমুখ সহ-খেলোয়াড় এই সন্ধ্যায় নীতিশের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মূলত সোনালি রঙের উপর ভিত্তি করেই নিজেদের বিয়ের সাজ সেজেছিলেন এই দম্পতি। দিল্লির ট্র্যাডিশনাল শেরওয়ানি ও পাগড়িতে বরবেশে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিলেন বছর ২৫-এর নীতিশ।
সাচির পরনেও ছিল দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সোনালি লেহঙ্গা চোলি। তার উপর পাথরের কাজ। এই পোশাকে সাচি হয়ে উঠেছিলেন ওই সন্ধের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
রাজপুত মতের সব আচার-অনুষ্ঠান মেনেই সাচিকে বিয়ে করেন নীতিশ। কেকেআর-এর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলেও এই দুই দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করা হয়।
গত বছর জুন মাসেই বান্ধবী সাচির সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেছিলেন নীতিশ। সেই অনুষ্ঠানেও ছিল তারকাদের ভিড়।
বাগদান পর্বের পর নীতিশ লিখেছিলেন, তিনি এক হাতেই বিশ্বজয় করতে পারেন, যদি তাঁর অন্য হাত সাচি ধরে থাকেন।
সাচিও দিল্লির মেয়ে। পেশায় ইন্টিরিয়র আর্কিটেক্ট। তাই এনগেজমেন্ট ও বিয়ের সেটের খুঁটিনাটির প্রতিও কড়া নজর ছিল তাঁর। অনুষ্ঠান শেষে নিজেরাই বিযের ছবি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেন নীতিশ ও সাচি।
তবে নিজেদের সম্পর্ক কোনও দিনই গোপন করেননি এঁরা। মাঠের বাইরের জীবনে প্রায়ই সাচির সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যেত নীতিশকে। খেলা, প্র্যাক্টিস এবং সাচির কাজ— সব সামলেও শপিং থেকে ঘুরে বেড়ানো, সব কিছুতেই একে অন্যকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
নীতিশ না হয়, স্ত্রীর হাত ধরে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখেন, আর সাচি কী বলছেল? বিয়ের পর সাচি জানিয়েছেন, তাঁর সৌভাগ্য নীতিশের মতো এক জন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়েছেন।