যশ এই মরসুমে লাল বলের ক্রিকেটে একটিও ম্যাচ খেলেননি। কিন্তু দিল্লি তাঁকে দিয়ে ওপেন করানোর সাহস দেখিয়েছে। কোনও ক্রিকেটার ছন্দে থাকাকালীন তাঁকে খেলানো হলে ফল ভাল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দুই-মেরু: যশ (বাঁ দিকে) সুযোগ পেলেন। রবি বাইরে। ফাইল চিত্র।
দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হল যশ ধুলের। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে নজর কাড়লেন তিনি। অন্য দিকে বাংলার হয়ে সুযোগ পেলেন না বাঁ-হাতি পেসার রবি কুমার। অথচ দু’জনেই সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজর কেড়েছিলেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে দেশে ফিরেছেন যশ। তাই রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই খেলিয়ে দেওয়া হয় তরুণ ব্যাটারকে। তার প্রতিদানও দিয়ে গেলেন যশ। ১৫০ বলে ১১৩ রান করে গেলেন তিনি। দিনের শেষে দিল্লির রান সাত উইকেটে ২৯১। যশের সেঞ্চুরির পরে গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
যশ এই মরসুমে লাল বলের ক্রিকেটে একটিও ম্যাচ খেলেননি। কিন্তু দিল্লি তাঁকে দিয়ে ওপেন করানোর সাহস দেখিয়েছে। কোনও ক্রিকেটার ছন্দে থাকাকালীন তাঁকে খেলানো হলে ফল ভাল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যশও এ দিন বুঝিয়ে দিলেন, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার যোগ্য তিনি।
চণ্ডীগড়ের হয়ে অভিষেক হল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক রাজ অঙ্গদ বাওয়ারও। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দু’উইকেট পেয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়েও চর্চা হচ্ছে গণমাধ্যমে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার উইকেট নেওয়া বাঁ-হাতি পেসার রবি কেন সুযোগ পাবেন না বাংলা দলে? বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে কেন বাইরে থাকতে হল তাঁকে?
রবির বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং কার্টলি অ্যামব্রোজও। রঞ্জি ট্রফির মতো মঞ্চে প্রথম ম্যাচেই তাঁর অভিষেক হওয়া উচিত ছিল না? বাংলার কোচ অরুণ লালের ব্যাখ্যা, ‘‘মুকেশ, আকাশ, ঈশান অনেক অভিজ্ঞ পেসার। প্রথম ম্যাচে ওদের দিয়েই শুরু করা হয়েছে। রবি দলের সঙ্গে থাকুক। ধীরে ধীরে অনেক কিছু শিখবে আশা করি।’’
সেঞ্চুরি রাহানের: চেতেশ্বর পুজারার সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে সেঞ্চুরি করলেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’বছর পরে রঞ্জি ট্রফি মরসুমের প্রথম দিন ২৫০ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকলেন রাহানে। ২১৯ বলে ১২১ রানে ক্রিজ়ে রয়েছেন সরফরাজ় খান। প্রথম দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান মুম্বইয়ের। ছন্দ খারাপ থাকার জন্য ভারতীয় দলে রাহানের সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটিও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ়ের দলে তাঁকে নেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্নও আছে। বৃহস্পতিবারের পারফরম্যান্সের পরে নির্বাচকদের ভাবনায় সম্ভবত আবারও জায়গা করে নিলেন রাহানে।
বিধ্বংসী মণীশ: চেন্নাইয়ে রেলওয়েসের বিরুদ্ধে ১২১ বলে ১৫৬ রান করে গেলেন মণীশ পাণ্ডে। প্রথম দিন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৯২ রান তুলে ফেলল কর্নাটক। ২২১ বলে ১৪০ রান করলেন কেএস সিদ্ধার্থ। ১৬ রান করে আউট মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ২১ রান করলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল।
শ্রীসন্থের প্রত্যাবর্তন: রঞ্জি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে দু’উইকেট পেলেন এস শ্রীসন্থ। মেঘালয়ের (১৪৮) বিরুদ্ধে ফের রঞ্জি খেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত কেরলের অভিজ্ঞ পেসার।