মনোজ তিওয়ারি (সামনে) ও ঋদ্ধিমান সাহা। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
কোথায় গেলেন ঋদ্ধিমান সাহা? ইডেনে মনোজ তিওয়ারিকে বিদায় বেলায় সিএবি যে সংবর্ধনা দিয়েছিল, সেখানে দেখা যায়নি ঋদ্ধিকে। এমনকি তাঁর কোনও ভিডিয়োবার্তাও ছিল না এক সময়ের সতীর্থের জন্য। প্রশ্ন উঠছিল, বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা যাওয়ার পরে কি মনোজকে ভুলেই গিয়েছেন ঋদ্ধি? না, ভোলেননি তিনি। ইডেনে না থেকেও মনোজের বিদায়বেলায় থাকলেন ঋদ্ধি।
নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন ঋদ্ধি। সেখানে ছবিতে দেখা যায়, বাংলার জার্সি পরে বসে রয়েছেন দু’জনে। ঋদ্ধির বুকে মাথা মনোজের। ক্যাপশনে ঋদ্ধি লেখেন, “প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান ও একটি লম্বা কেরিয়ারের জন্য শুভেচ্ছা। কেরিয়ারের সব থেকে বেশি সময় জুড়ে তোমার পাশে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি। আগামী দিনের জন্য তোমাকে অনেক শুভেচ্ছা, মন্নি।”
পাল্টা জবাবও দিয়েছেন মনোজ। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঋদ্ধির পোস্ট শেয়ার করে জবাবে মনোজ লেখেন, “সুপারম্যান ঋদ্ধি, ধন্যবাদ।”
রবিবার সকালে ইডেনে বিহার ম্যাচ জিতে মনোজকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সতীর্থেরা। বিকেলের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিল গোটা বাংলা দল। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লের আহ্বানে মনোজের সতীর্থেরা মঞ্চে উঠে আসেন। অধিনায়ক মনোজকে নিয়ে ছবিও তোলে বাংলা দল। একটি পরিবার গড়ে তোলার বার্তা দিচ্ছিলেন কোচ। সামনে তখন বসে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মনোজ যাঁকে নিজের অনুপ্রেরণা বলে ঘোষণা করলেন মঞ্চে শেষ বার্তা দেওয়ার সময়। এমন একটা অনুষ্ঠানে শুধু দেখা যায়নি বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে যাওয়া ঋদ্ধিমান এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। এক সময় মনোজের সতীর্থ ছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে দেখা গেল না অশোক ডিন্ডাকেও। বহু লড়াই অধিনায়ক মনোজ জিতেছেন যে পেসারের হাত ধরে। রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এখন দুই মেরুতে দু’জন। দেখা যায়নি প্রাক্তন ক্রিকেটার রণদেব বসু, শ্রীবৎস গোস্বামীকেও।
বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে পিচে চুম্বন করে ক্রিকেটকে বিদায় জানান মনোজ। তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে মনোজ সম্পর্কে নানান কাহিনি বলেন সিএবি প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন সিএবি প্রধান অভিষেক ডালমিয়া, মনোজ এক সময়ের সতীর্থ এবং এখন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন। মনোজের জীবনের কাহিনি শোনান বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং এখন বাংলার প্রধান নির্বাচক শুভময় দাশ। মনোজের পরিশ্রম এবং ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কথা সকলকে বলেন তাঁর সতীর্থ অনুষ্টুপ মজুমদার। ভিডিয়োবার্তা দেন হরভজন সিংহ, মহম্মদ শামি এবং বাংলার বেশ কিছু ক্রিকেটার।