মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ভারত। ফাইল ছবি
মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ভারত। সোমবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ-লুইস প্রক্রিয়ায় পাঁচ রানে হারাল হরমনপ্রীত কৌরের দল। মঙ্গলবার পাকিস্তান যদি ইংল্যান্ডকে হারায়, তা হলেও ভারতকে তারা টপকাতে পারবে না। ভারত এবং ইংল্যান্ড, দু’দলেরই এখন ছ’পয়েন্ট। তবে ইংল্যান্ড একটি ম্যাচ কম খেলেছে।
মঙ্গলবার এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড বিরাট ব্যবধানে হারলে ভারতের গ্রুপ শীর্ষে ওঠার একটা সম্ভাবনা থাকছে। তবে সেটা কার্যত অসম্ভব। ফলে সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই খেলতে হবে ভারতকে। যে দেশের বিরুদ্ধে হরমনপ্রীতদের রেকর্ড একদমই ভাল না।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোমবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হরমন। শুরুটা দারুণ হয়েছিল ভারতের। আইরিশ বোলাররা স্মৃতি মন্ধানা এবং শেফালি বর্মাকে টলাতে পারেননি। দুই ওপেনার ৯ ওভার খেলে দেন। শেফালি ধীরস্থির খেলে একটা দিক ধরে রাখছিলেন। অন্য দিকে স্মৃতি প্রথম থেকে চালিয়ে খেলতে থাকেন। দশম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরে যান শেফালি।
স্মৃতির সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। তিনিও স্মৃতিকে আক্রমণাত্মক খেলার সুযোগ করে দিয়ে নিজে ধরে খেলতে থাকেন। স্মৃতি এ দিন ছিলেন নিজের মেজাজে। তাঁর সামনে টিকতে পারেননি কোনও আইরিশ বোলারই। এক সময় মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের প্রথম শতরান করে ফেলবেন তিনি। তবে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট খোয়ান ভারতের সহ-অধিনায়ক। তার আগে ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৫৬ বলে ৮৭ করে ফেলেছেন তিনি।
তার আগে একই ওভারে হরমন এবং রিচা ঘোষকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। তার পরে আবার একই ওভারে স্মৃতি এবং দীপ্তি শর্মা ফেরেন। তিনটি চারের সাহায্যে জেমাইমা রদ্রিগেস ১২ বলে ১৯ করেন। তবে শেষ দিকে রান তোলার গতি কমে যায়।
বল হাতেও ভারতের শুরুটা খুবই ভাল হয়েছিল। প্রথম বলেই রান আউট হন আয়ারল্যান্ডের অ্যামি হান্টার। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে জেমাইমার ছোড়া থ্রোয়ে রিচা তাঁকে রান আউট করেন। সেই ওভারেই ওর্লা প্রেন্ডারগাস্টকে ফিরিয়ে দেন রেণুকা সিংহ ঠাকুর। তবে ধস সামাল দেন গ্যাবি লিউইস এবং লরা ডেলানি। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা যখন ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন, তখনই বৃষ্টি নামে। খেলা আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৮.৩ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৯ রানের বেশি। কিন্তু পাঁচ রান কম থাকায় হেরে যায় তারা।