শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
কোথায় গেলেন শুভমন গিল? তৃতীয় দিন শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। পরে ফিল্ডিং করতেও নেমেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ দিন সকাল থেকে মাঠে দেখা গেল না তাঁকে। কী হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারের? জবাব দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিসিআই জানিয়েছে, দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিং করার সময় ডান হাতের তর্জনীতে চোট লেগেছে শুভমনের। সেই কারণে চতুর্থ দিন ফিল্ডিং করছেন না তিনি। দ্বিতীয় দিন চোট লাগলেও তৃতীয় দিন সেই চোট লাগা হাতেই ব্যাট করেছেন শুভমন। শতরান করেছেন। সেই কারণে হয়তো চোট আরও খানিকটা বেড়েছে। সেই কারণে তাঁকে নিয়ে হয়তো আর ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিসিআই।
১১ মাস পরে লাল বলের ক্রিকেটে শতরান করেছেন শুভমন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন অক্ষর পটেল। দু’জনে মিলে দলের ইনিংস সামলান। চা বিরতির আগে দুই ব্যাটার আউট হয়ে গেলেও তত ক্ষণে ভারতের লিড অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ম্যাচ ধরেই রান পাচ্ছিলেন না শুভমন। ১২টি ইনিংস পর টেস্টে অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। গত বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমদাবাদে শতরান করেছিলেন শুভমন। প্রায় এক বছর পর আবার লাল বলে ৫০ রানের গণ্ডি পার করেছিলেন রবিবারই। শতরানও করে ফেলেন শুভমন। ১৪৭ বলে ১০৪ রান করে আউট হন তিনি।
রবিবার এক সময় রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারিয়ে চাপ তৈরি হয়েছিল ভারতের উপর। সেই চাপটা প্রথমে কাটিয়ে দেন শুভমন। সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি মারছিলেন তিনি। রবিবার ১১টি চার এবং দু’টি ছক্কা মেরেছেন শুভমন। প্রথমে শ্রেয়স এবং পরে অক্ষরকে নিয়ে ইনিংস গড়েন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করেই দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে বড় লক্ষ্য দেয় ভারত।
যদিও শতরানের পরেও শুভমন রেগে ছিলেন। সেটা তাঁর আউট হওয়ার সময় ও ধরনের জন্য। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘‘তখন চা বিরতি হতে ৬-৭ ওভার বাকি ছিল। ওই সময় আউট হওয়া উচিত হয়নি। বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। সেই সময় ব্যাট করতে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। চা বিরতি পর্যন্ত টিকে থাকলে আরও রান করতে পারতাম।’’
শুভমনের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন তাঁর বাবা। ছেলে আউট হতেই নিজের আসন থেকে উঠে যান তিনি। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, শুভমনের আউট হওয়ার ধরনে খুশি হননি তিনি। বাবাকে ভয় পাচ্ছেন শুভমন। তিনি বলেন, ‘‘জানি না, বাবা কী ভাবে বিষয়টা নিয়েছে। হোটেলে ফিরলে বুঝতে পারব। কিন্তু এখন হোটেলে ফিরতেই ভয় লাগছে।’’