ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের নিলামে যাওয়ার আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। হার্দিক পাণ্ড্য, সূর্যকুমার যাদব, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা এবং তিলক বর্মাকে ধরে রেখেছে তারা। কিন্তু ঈশান কিশানকে রাখেনি তারা। তরুণ উইকেটরক্ষককে কি আরটিএম করে ফেরাবে মুম্বই?
২০২২ সালের নিলামে ১৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ঈশানকে কিনেছিল মুম্বই। তার আগে ২০১৮ সালের নিলামে ঈশানকে তারা কিনেছিল ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে। কিন্তু গত আইপিএলে ঈশান সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। তাই তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে মুম্বই। কিন্তু নিলামে রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) করে ঈশানকে ফেরানো সম্ভব হবে না। কারণ ভারতীয় দলে অভিষেক হয়ে গিয়েছে তাঁর।
কোন নিয়মে আটকাবে মুম্বই? যে পাঁচ ক্রিকেটারকে তারা রেখে দিয়েছে, তাঁদের সকলেই ভারতের হয়ে খেলেছেন। অর্থাৎ সকলেই ক্যাপড ক্রিকেটার। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দল ছ’জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারলেও ক্যাপড ক্রিকেটার রাখতে পারবে পাঁচ জনকে। মুম্বই ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে রেখে দিয়েছে। ফলে আরটিএম করে ঈশানকে নিতে পারবে না তারা। মুম্বই এমন ক্রিকেটারকে আরটিএম করতে পারবে, যিনি এখনও ভারতের হয়ে খেলেননি বা পাঁচ বছর আগে শেষ বার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এই নিয়মের কারণে ঈশানকে আরটিএম করতে পারবে না মুম্বই। যদিও নিলামের স্বাভাবিক নিয়মে ঈশানকে কিনে দলে নিতেই পারে তারা।
পাঁচ জন ক্রিকেটারকে রাখতে ৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে মুম্বইয়ের। নিলামে ৪৫ কোটি টাকা নিয়ে নামবে তারা। অধিনায়ক হিসাবে হার্দিককেই রেখেছে মুম্বই। যদিও সব থেকে বেশি টাকা দিয়েছে বুমরাকে। ভারতীয় পেসারকে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে মুম্বই। হার্দিক এবং সূর্যকুমারকে তারা দিয়েছে ১৬ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা করে। রোহিতকে দিয়েছে ১৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ৮ কোটি টাকা দিয়েছে তিলককে।