১৫ বছর বয়সেও শোয়েবের বল ভয় পাননি বাবর। ছবি: টুইটার।
অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় দলে খেলতে এসে না কি খুনই হয়ে যেতেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রাণে বাঁচাতে নেট থেকে সাজঘরে ফেরত পাঠাতে হয়েছিল তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন বাবর।
অনূর্ধ্ব ১৫ পাকিস্তান দলে তখন সবে সুযোগ পেয়েছিলেন বাবর। কোচ ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ওপেনার মুদাস্সর নজ়র। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের মাঝে সে সময়ের কথা বলেছেন বাবর। বাবরদের শিবিরে অনুশীলনের জন্য এসেছিলেন শোয়েব আখতার। বাবরের ব্যাটিং দক্ষতা দেখে নজ়র তাঁকে শোয়েবের বল খেলতে বলেন নেটে। সেই ঘটনার কথাই বলেছেন বাবর।
পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের অনুশীলন তখন শেষ। শোয়েব ভাই বোলিং অনুশীলন করতে এসেছিল। অনুশীলনের জন্য নজ়র স্যরকে বলে এক জন ব্যাটার দিতে। স্যর আমাকে নেটে পাঠান। স্যরের কথা শুনে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ি। তাড়াতাড়ি প্যাড পরে তৈরি হয়ে নিয়েছিলাম।’’
এর পরেই বিপদে পড়েন বাবর। সেই ঘটনা নিয়ে বাবর বলেছেন, ‘‘শোয়েব ভাই বল করতে এসেই আমাকে বলেছিল, ‘বাচ্চা তুমি শুধু বলটাকে আটকাবে, মারার চেষ্টা করবে না।’ আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে। প্রথম দু’টো বল রক্ষণাত্মক ভাবে খেলেছিলাম। কিন্তু আর লোভ সামলাতে পারিনি। তৃতীয় বলেই ড্রাইভ মেরে দিয়েছিলাম। মার খেয়ে শোয়েব ভাই আবার বলেছিল, ‘তোমাকে ফুল লেংথে বল করব। তুমি মারার চেষ্টা করবে না।’ তেমনই করব বললেও, আবার একটা ড্রাইভ মেরেছিলাম ভুল করে। সে বার বলটা প্রচন্ড গতিতে শোয়েব ভাইয়ের পাশ দিয়ে চলে যায়। তাতেই প্রচন্ড রেগে গিয়েছিল শোয়েব ভাই। বলেছিল, ‘দাঁড়াও নতুন বল নিয়ে আসছি। দেখাচ্ছি এ বার তোমাকে।’ এর পর নতুন বল আনতে চলে গিয়েছিল ক্ষুব্ধ শোয়েব ভাই।’’
তার পরের ঘটনাও বলেছেন বাবর। ক্ষুব্ধ শোয়েব নতুন বল এনে আবার বাবরকে বলেছিলেন, “ফুল লেংথে বল করব সাবধানে থাকবে।” হঠাৎই ভয়ঙ্কর গতির একটি বাউন্সার করেন। বলটি বাবরের মাথা ঘেঁসে চলে যায়। একটুর জন্য বড় আঘাত থেকে বেঁচে যান তিনি। শোয়েব বলেছিলেন, তিনিও ভুল করেই বাউন্সার দিয়ে ফেলেছেন। তা দেখেই নজ়র ডেকে নেন বাবরকে। নেট থেকে তাড়াতাড়ি বাবরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন সহকারীদের। বাবর হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘স্যর