বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন তিনি। করেছেন মূল্যবান ৮৫ রান। সেই ইনিংস নিয়ে আগেই কথা বলেছেন ম্যাচের সেরা রাহুল। এ বার মুখ খুললেন বিরাট কোহলি। বোর্ডের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় ব্যাখ্যা করেছেন তাঁদের সাফল্যের রসায়ন।
ম্যাচের পরের দিনই রাহুলের সঙ্গে হোটেলের বাগানে আড্ডা মারতে বসে গিয়েছিলেন কোহলি। সেখানেই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে কোহলি বলেন, “কম রানের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আমরা নিজেদের তৈরি করতে কতগুলো বল খেলতে তৈরি সেটার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছিল। শুরুর দিকে আমরা কেউই বলের সংখ্যার দিকে নজর দিইনি। শারীরিক ভাবে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে রয়েছে সেগুলোর কী ভাবে মোকাবিলা করব সেটা ভাবছিলাম। তখন যে কোনও ক্রিকেটারেরই একটু ক্লান্তি লাগে।”
কোহলির সংযোজন, “ছোট ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেগুলো অতিক্রম করতে করতেই ক্রমশ লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগিয়ে যাই। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের জুটির সবচেয়ে বড় সাফল্য।”
এর পর রাহুলের কাছে কোহলি জানতে চান, তিনি কী ভাবে ব্যাপারটা দেখছিলেন? রাহুলের উত্তর, “আমার পরিকল্পনা ছিল প্রথম ১০টা ওভার টেস্টের মতো খেলা। টেস্টে আমি ওপেন করি। সেখানে শুরুর দিকে বল বেশ নড়াচড়া করে। নিজেকে বলেছিলাম, একটু রক্ষণাত্মক হতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ছন্দ নষ্ট করে দিতে হবে। তুমিও আমাকে বলেছিলে, এখন তাড়াহুড়ো করতে গেলে উইকেট খোয়াতে হবে। সেটাও মাথায় রেখেছিলাম।”
এর পর কোহলি নিজেই বলেন, “আসলে আমরা দু’জনেই পুরনো দিনের ক্রিকেট খেলার দিকে মন দিয়েছিলাম। চাইছিলাম কোনও ভাবে যাতে ভুল না হয়। খুচরো রান দিতে চেয়েছিলাম। এ রকম জয় পেলে যে কোনও দলেরই ভাল লাগে।”
রাহুলের ব্যাট করতে আসার সময় নিয়েও মজা করেছেন কোহলি। বলেছেন, “আমি বুঝতে পেরেছিলাম ক্রিজে আসার আগে কতটা ব্যস্ত ছিলে তুমি। নিজের গ্লাভস, প্যাডটাও ঠিক করে পরার সময় পাওনি। তোমাকে প্রথমেই বলেছিলাম, বল ঘুরছে। সত্যি বলতে, আমাদের শুরুটা খুবই খারাপ হয়েছিল।”
রাহুল তার পরেই হাসতে হাসতে বলেন, “আসলে সবে স্নান করে এসে বসেই দেখলাম ঈশান আউট হয়ে গেল। তখনই আমি বিপদ বুঝে সাজঘরে যাই। নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি। এই সময় রোহিতও আউট হয়ে যায়। ভেবেছিলাম শ্রেয়স অন্তত দু’ওভার খেলতে পারবে। সেটাও হয়নি। খুব হুড়োতাড়ার মধ্যে নামতে হয়েছিল।”