মুকেশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
এক স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত। শুধু মুকেশ কুমারের জন্য নয়, বাংলার পেসারের পরিবারের জন্যেও এক স্মরণীয় মুহূর্ত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমাজমাধ্যমে মুকেশ নিজেই জানালেন, অভিষেক হওয়ার পর মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সেই আবেগের কথা। বাংলার পেসার চার বছর আগে তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদ পেলেন মুকেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয় মুকেশের। টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাট করে ভারত। সে দিন মাঠে নামার সুযোগ হয়নি মুকেশের। তবে খেলা শুরুর আগে তাঁর হাতে টুপি তুলে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের ৩০৮তম টেস্ট ক্রিকেটার মুকেশ। সেই আনন্দে দিনের শেষে ফোন করেছিলেন মাকে। মুকেশ বলেন, “মা বলেছে সব সময় আনন্দে থাকতে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। মায়ের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে আছে। মা চায় আমি যেন আরও উন্নতি করি। এই মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বোঝাতে পারব না আমি কতটা খুশি। সকালে আমার অভিষেক হয়েছে, বিকেলে ফোন করেছিলাম মাকে। বুঝতে পারছিলাম না মাকে কী বলব।”
মুকেশের বাবা চেয়েছিলেন যে, ছেলে সরকারি চাকরি করুক। পড়াশোনার দিকে জোর দিতেন তিনি। কিন্তু মুকেশের মা বুঝেছিলেন যে, ছেলের ভালবাসা ক্রিকেট। তাই সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট বলই উঠে আসত মুকেশের হাতে।
বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০১৫ সালে অভিষেক হয় মুকেশের। এর পর দীর্ঘ আট বছরের লড়াই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৯টি ম্যাচ খেলা মুকেশ নিয়েছেন ১৪৯টি উইকেট। বাংলার পেস আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। এ বার ভারতের হয়ে একই কাজ করতে চান মুকেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সুযোগ পাননি মুকেশ। যদিও দ্বিতীয় টেস্টে শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় নেওয়া হয়েছে বাংলার পেসারকে। সেই টেস্টে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৪৩৮ রান করেছে। মুকেশ ব্যাট করতে নামলেও একটি মাত্র বল খেলেছিলেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে চার ওভার বল করেছেন তিনি। এখনও উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ১০ রান।