রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে। —ফাইল চিত্র।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হতে আর ন’দিন বাকি। এর মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে। ভারতীয় দলের স্পিনারের বক্তব্য, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অবসর নেওয়ার পরেই ভারতের টেস্ট দলের উন্নতি শুরু হয়।
ঠিক কী বলেছেন অশ্বিন? তাঁর বক্তব্য, ‘‘২০১৪ সালের পর থেকে ভারতীয় দল বদলে যায়। সেই সময় ধোনি সবে অবসর নিয়েছে। আমরা অল্প কয়েকটা টেস্ট খেলেছি। সেই সময় আমাদের যাত্রাটা শুরু হয়। তখন থেকে সবে নিজেদের মতো হাঁটতে শুরু করেছি আমরা। সিনিয়রদের বাদ দিয়ে এই পথ চলা সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা যে পরিশ্রম করেছি সেটার ফল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।” ২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ধোনি।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিন আরও বলেন, ‘‘পর পর দু’বার ফাইনালে ওঠা সহজ ছিল না। আমরা যে ভাবে পুরো মরসুম খেলেছি সেটারই ফল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারা।”
তবে কি ধোনির সময় ভারতের টেস্ট দল নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি? এটাই কি বলতে চেয়েছেন অশ্বিন? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন। আবার অনেকে বলছেন, অশ্বিন মোটেই এটা বলতে চাননি। তিনি শুধু এটুরুই বলতে চেয়েছেন, ধোনির অবসরের পরে ভারতের উঠতি ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেটা প্রশংসনীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ধোনির সময়ে কিছুই হয়নি। অশ্বিন সে কথা একেবারেই বলতে চাননি।
২০২১ সালের পর এ বছর আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে ভারত। পর পর দু’বারের ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করা সহজ ছিল না বলে মানছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর মতে এর পিছনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের গুরুত্ব সব থেকে বেশি।
গত বার ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি ভারত। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল তারা। এ বার সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার। ৭ জুন ওভালে হবে সেই ম্যাচ।
ধোনি অবসর নেওয়ার পর বিরাট কোহলির হাতে টেস্ট দলের দায়িত্ব আসে। ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। এই সময়ের মধ্যে ২০২১ সালের ফাইনাল খেলে ভারত। পরের দু’বছরের বেশির ভাগ টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। ২০২২ সালের পর অধিনায়ক হন রোহিত শর্মা। তিনিই নেতৃত্ব দেন দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোহিতের নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে সিরিজ় জিতে ফাইনালের টিকিট পাকা করে ভারত। সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ফাইনাল খেলবে ভারত।