কোন সাত নিয়ম দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে? ফাইল ছবি
আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় দেখা যেতে চলেছে বেশ কিছু বদল। সম্প্রতি ক্রিকেটের নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে আইসিসি। তার পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেটি চালু হচ্ছে। কী কী বদল দেখা যেতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে?
১. ক্যাচের পর নতুন ব্যাটারই স্ট্রাইকে
আগে কোনও ব্যাটার ক্যাচ আউট হলে তিনি যদি মাঝে রান নেওয়ার সময় পিচ পেরিয়ে যেতেন, তা হলে নতুন ব্যাটারকে নন-স্ট্রাইকার হিসাবে দাঁড়াতে হত। নতুন নিয়মে এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারই স্ট্রাইক নেবেন।
২. বলে থুতু লাগানো বন্ধ
কোভিডের সময় থেকে বলে থুতু লাগানো বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি তা পাকাপাকি ভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাড়তি সুইং পাওয়ার জন্য বলে থুতু লাগাতে পারবেন না বোলাররা।
৩. নন-স্ট্রাইকারকে রান আউট
বহুল পরিচিত ‘মাঁকড়ীয় আউট’ নামেই। দীপ্তি শর্মার কারণে সম্প্রতি এ ধরনের আউট শিরোনামে এসেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই আউট হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আইসিসির নতুন নিয়ম তা এখন রান আউট বলেই মানা হবে।
৪. ফিল্ডারদের নড়াচড়া
বোলার বল করতে ছোটার সময় তাঁর দলের ফিল্ডার যদি জায়গা বদল করেন, তা হলে আম্পায়ার শাস্তি হিসাবে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান দিতে পারেন। একইসঙ্গে বলটি ‘ডেড বল’ হয়ে যাবে।
৫. ব্যাটারকে রান আউট করার চেষ্টা গ্রাহ্য হবে না
কোনও ব্যাটারকে শট মারার আগে ক্রিজ থেকে এগিয়ে আসতে দেখলে অনেক সময় বোলার তাঁকে রান আউট করার চেষ্টায় বল ছুড়তেন। এখন সেটা করলে ‘ডেড বল’ দেওয়া হবে।
৬. ব্যাটারকে থাকতে হবে পিচে
বোলার বল করার সময় ব্যাটারের ব্যাটের কিছু অংশ অথবা ব্যাটারকে ক্রিজের মধ্যে থাকতে হবে। তার বাইরে গেলেই আম্পায়ার ‘ডেড বল’ ডাকতে পারেন। যদি কোনও বল মারতে গিয়ে ব্যাটারকে বাধ্য হয়ে পিচ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে ‘নো বল’ ডাকা হবে।
৭. ওভার দেরি করে শেষ করার মাশুল
নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভার বোলিং শেষ করতে না পারলে ফিল্ডিং দলকে শাস্তি পেতে হবে। যত ওভার কম হবে, সেই ওভারগুলিতে বৃত্তের ভিতরে এক জন অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হবে।