দলের একটি বিভাগকে সেরা বাছলেন বাবর। ফাইল ছবি
কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব থেকেই গেল। গ্রুপ পর্বে ধাক্কা খাওয়ার পর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করে ফাইনালে উঠে গেলেও বিশ্বকাপ জিততে পারল না পাকিস্তান। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৩০ বছর আগের রাত ফেরাতে পারল না তারা। ইমরান খানকে ছোঁয়াও হল না বাবর আজমের।
তবু দল যে এত দূর এসেছে, সেটা ভেবেই গর্বিত বাবর। ফাইনালে হারের হতাশা তাঁর চোখেমুখে থাকলেও বার বার কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের। অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন তাঁদের সাহসিকতার। তাঁর আরও বেশি মুগ্ধতা ধরা পড়েছে দলের বোলিং বিভাগ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফদের কৃতিত্ব দিয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বোলিং বিভাগই বিশ্বের সেরা।
বাবর বলেছেন, “আমাদের ২০ রান কম উঠেছিল। কিন্তু শেষ ওভার পর্যন্ত লড়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আমাদের বোলিং বিভাগ বিশ্বের অন্যতম সেরা। আজ দুর্ভাগ্যবশত শাহিনের চোটে ধাক্কা খেয়েছি আমরা। না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু এটা খেলারই অংশ। মেনে নিতেই হবে।”
তবে বাকি সতীর্থদেরও প্রশংসা করতে ছাড়েননি তিনি। বাবর বলেছেন, “যে ভাবে গত চারটে ম্যাচে সতীর্থরা খেলেছে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওরা। ওদের জন্যেই আমরা ফাইনালে খেলতে পেরেছি।”
ফাইনালের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ৩০ বছর আগের জয়ের সেই অধিনায়ক ইমরান বার্তা দিয়েছিলেন। সেই বার্তা কি দিয়েছিলেন দলের কাছে? বাবর বললেন, “হ্যাঁ সবাই সেটা জানত। আমি একটা কথা বলে দিয়েছিলাম, খোলা মনে খেলো। স্বাধীন ভাবে খেলো। কোনও চাপে থাকার দরকার নেই।”
রবিবারের ম্যাচে মেলবোর্নের উইকেট কাজে লাগিয়ে ভাল বল করলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। নিয়মিত ব্যবধানে পাকিস্তানের উইকেট পড়ল। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করেন বাবররা। রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতেন জস বাটলাররা। অর্ধশতরান করলেন বেন স্টোকস। ২০১০ সালের পরে আরও এক বার ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড।
৩০ বছর আগের দুঃখ ঘুচল ইংরেজদের। অন্য দিকে ইমরান খানের কীর্তি করে দেখাতে পারলেন না বাবর আজ়ম। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ইমরান। বাবর সেটা করতে পারলেন না। হেরে মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে।