বাটলারদের আলোচনায় হঠাৎই বিশ্বকাপ। ছবি: পিটিআই
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দিন। তার পরেই গোটা বিশ্বের নজর ঘুরে যাবে ফুটবল বিশ্বকাপের দিকে। বিশ্বকাপ খেলতে ধীরে ধীরে অনেক দেশই পৌঁছতে শুরু করেছে কাতারে। ক্রিকেট বিশ্বকাপেও স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসছে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ। শনিবার জস বাটলারের সাংবাদিক বৈঠক যেমন। একাধিক বার সেখানে ফুটবলের প্রসঙ্গ এল। বাটলার সাফ বললেন, তাঁরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেন, তা হলে নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ফুটবল দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন তাঁরা।
ক্রিকেটের সাফল্য থেকে কি অনুপ্রাণিত হতে পারে ফুটবল? এই প্রশ্নে বাটলারের উত্তর, “মনে হয় তাই। খেলাধুলো ইংরেজদের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিশ্বকাপে দলের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তাদের তুলনা নেই। আমরা বিশ্বের অন্য প্রান্তে রয়েছি ঠিকই। কিন্তু সেই সমর্থন পাচ্ছি। তাই আমাদের জয় ওদের অনুপ্রাণিত করতেই পারে।”
ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় খেলা শুরু। বাটলারের মতে, খুব বেশি লোক হয়তো ট্রাফালগার স্কোয়্যারে একসঙ্গে খেলা দেখতে জড়ো হবেন না। কিন্তু বাড়িতে অবশ্যই টিভি খুলে বসবেন। যে হেতু টিভিতে বিনামূল্যে খেলা দেখা যাবে। এমনিতে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে ফুটবলের প্রচার যতটা বেশি, ক্রিকেটে তাঁর ছিটেফোঁটাও নেই। তাই বাটলার বলেছেন, “ইউরোতে ফুটবল দলকে নিয়ে মাতামাতি দেখেছি। ফুটবলের সঙ্গে আমাদের দেশে কোনও কিছুরই তুলনা চলে না।” পর ক্ষণেই বাটলারের মন্তব্য, “বিনা খরচে টিভিতে খেলা দেখা যাবে। আশা করি নতুনরাও খেলা দেখতে চাইবে।”
বাটলারের ধারণা, ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁদের সাফল্যই দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে। বলেছেন, “২০১৯-এ বিশ্বকাপ জেতার পর কী পরিমাণ জনপ্রিয়তা বেড়েছে সেটা আমরা সবাই দেখেছি। সে বার ট্রাফালগাল স্কোয়্যারে বিরাট ভিড় ছিল। এ বার হয়তো খুব বেশি মানুষ আসবেন না। কিন্তু বাড়ি থেকে নিশ্চয়ই আমাদের শুভেচ্ছা জানাবেন।”
পাকিস্তানের বোলারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাটলার। বলেছেন, “পাকিস্তান দুর্দান্ত দল। জোরে বোলার তৈরি করায় ওদের অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে। ক্রিকেটজীবনের শেষে দেশের অন্যতম সেরা জোরে বোলার হিসাবে শেষ করবে ওরা। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে জোরে বোলাররাই।”
ভারতের বিরুদ্ধে প্রাধান্য দেখিয়ে ফাইনালে উঠলেও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ সহজ হবে বলেই ধারণা বাটলারের। বলেছেন, “আগেই বলেছি, কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। সাম্প্রতিক অতীতে ওদের বিরুদ্ধে অনেক ম্যাচে খেলেছি। তারুণ্যে ভরপুর একটা দলের বিরুদ্ধে নামতে চলেছি। তবে দলের মধ্যে একটা বার্তা দেওয়াই রয়েছে যে, পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন সেটা পেরোতে হবে আমাদের।”