নিজে ভাল খেললেও দল জিততে না পারায় হতাশ হার্দিক। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ জিততে পারেনি দল। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যদের। এই হার মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় অলরাউন্ডার। বিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে একটি টুইটে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন হার্দিক। ভারতীয় অলরাউন্ডার লিখেছেন, ‘‘বিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছি। আমার পক্ষে, দলের সবার পক্ষে (এই হার) মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা সবাই একটা দল হয়ে খেলেছি। প্রতিটা পদক্ষেপে একসঙ্গে লড়াই করেছি। মাসের পর মাস ধরে পরিশ্রমের জন্য দলের সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ।’’ এই টুইটের সঙ্গে নিজের ও দলের কয়েকটি ছবিও দিয়েছেন হার্দিক।
সেমিফাইনালে হার্দিক যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ১১.২ ওভারে ৭৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছে ভারতের। সেখান থেকে দলের রানকে টেনে তোলেন হার্দিক। বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন। কোহলি আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন হার্দিক। ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। মারেন চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা। হার্দিকের ব্যাটে ভর করেই ১৬৮ রান পর্যন্ত পৌঁছয় ভারত। কিন্তু তার পরেও ম্যাচ জিততে পারেননি তাঁরা। সেই কারণে আরও বেশি হতাশ হার্দিক। এই হার মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
অন্য দিকে ভারত অধিনায়ক রোহিত আবার হারের জন্য দুষেছেন মূলত বোলারদের। তার মধ্যে আলাদা করে বেছে নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভার। ভারত অধিনায়কের মতে, ওই ওভারটাই ছন্দ নষ্ট করে দেয়। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম ওভারটা ঠিকঠাক হল না। ঠিক জায়গায় বলই রাখতে পারল না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আঁটোসাটো বল করা। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মারার জায়গা না দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। উইকেটের দু’পাশের এলাকা নিয়ে সতর্ক ছিলাম আমরা। কারণ এই মাঠে উইকেটের দু’পাশে প্রচুর রান ওঠে। এই ম্যাচেও উঠেছে। ভাল বল করার পরেও ব্যাটাররা রান করলে বলার কিছু থাকে না। কিন্তু আমরা তো ভাল বলই করতে পারিনি।’’
ব্যাটিং নিয়ে তেমন অভিযোগ নেই রোহিতের। বলেছেন, ‘‘এই ফলাফল খুবই হতাশার। মনে হয় আমরা ভালই ব্যাট করেছি। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ দিকে আমাদের ব্যাটিং ভাল হয়েছে। আসলে আমরা ভাল বল করতে পারিনি। উইকেট এমনও ছিল না, যে মাত্র ১৬ ওভারেই প্রতিপক্ষ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে নেমে। বল হাতে কিছুই করতে পারিনি আমরা।’’ রোহিত ব্যাটিং ভাল হয়েছে বলে দাবি করলেও, সেমিফাইনালে প্রথম ছয় ওভারের পাওয়ার প্লেতে উঠেছে মাত্র ৩৮ রান।
বোলারদের উপর হারের দায় চাপালেও প্রতিযোগিতায় নিজের ছন্দে না থাকা নিয়ে কিছু বলেননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ছ’টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১১৬ রান করেছেন রোহিত। ফাইনালের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে রোহিত ম্যাচের পর বলেছেন, ‘‘নক আউট পর্বে চাপ সামলানোই আসল। এই বিষয়টা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। চাপ সামলানোর বিষয়টা কাউকে শেখানো যায় না। চাপ নিয়ে খেলা দলের ছেলেদের কাছে নতুন নয়। আইপিএলের প্লে অফ ম্যাচ যখন খেলে তখনও প্রচুর চাপ থাকে। দলের সকলেই চাপ সামলাতে অভ্যস্ত। আসলে সেমিফাইনালে আমাদের বোলিং আক্রমণের শুরুটাই ঠিকঠাক হয়নি। সে সময় আমরা একটু স্নায়ুর চাপে ছিলাম। সেটাই একমাত্র কারণ নয়। ইংল্যান্ডকেও যথেষ্ট কৃতিত্ব দিতে হবে।’’