ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে হার্দিক। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ছন্দে ফিরলেন হার্দিক পাণ্ড্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার। ব্যাট বা বল হাতে তেমন কিছু করতে পারছিলেন না। সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ সময় জ্বলে উঠলেন আইপিএল জয়ী অধিনায়ক।
৩৩ বলে ৬৩ রান করলেন হার্দিক। তাঁর ব্যাট থেকে এল চারটি চার এবং পাঁচটি ছয়। তাঁর আগ্রাসী মেজাজ দেখে ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভারে দলের স্বার্থে নিজের উইকেট ছুড়ে দিলেন ঋষভ পন্থ। বিরাট কোহলি ছাড়া ভারতের উপরের দিকের ব্যাটাররা রান পেলেন না সেমিফাইনালে। লোকেশ রাহুল (৫), রোহিত শর্মা (২৭) এবং সূর্যকুমার যাদব (১৪) পর পর সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর চাপে পড়ে যায় ভারতীয় শিবির। ৭৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২২ গজে আসেন হার্দিক। জুটি বাধেন কোহলির সঙ্গে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন হার্দিক। অর্ধশতরান করে কোহলি আউট হওয়ার পর ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেন মূলত হার্দিকই। তাঁর ৬৩ রানের ইনিংসের সুবাদেই জস বাটলারদের বিরুদ্ধে ১৬৮ রান তুলল ভারত।
ভারতের রান ১৭২ রান হতেই পারত। ইনিংসের শেষ বলে অনবদ্য চার মারেন হার্দিক। কিন্তু তাঁর পা লেগে উইকেট ভেঙে যাওয়ায় সেই রান যোগ হল না। দুরন্ত ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকা হল না হার্দিকের। ভারতীয় ইনিংসের শেষ দিকে ভারতীয় শিবিরও হয়তো চাইছিল যত বেশি সম্ভব বল খেলুন হার্দিক। কারণ, তিনি থাকা মানেই রান উঠবে দ্রুত। অ্যাডিলেডের ২২ গজে ওঠা হার্দিক ঝড় গ্যালারিতে উপভোগ করলেন তাঁর স্ত্রীও।