উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। ছবি: আইসিসি।
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১৩৭ রান শেষ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। ৪২ রানে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় বড় লাফ দিলেন অ্যারন ফিঞ্চরা। চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তাঁরা। এই ম্যাচে রানে ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ। অর্ধশতরান করলেন তিনি।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে অন্য ওপেনার ফিঞ্চ ভাল খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন মিচেল মার্শ। দুজনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। মার্শ ২৮ রান করে আউট হন।
ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচেও রান পাননি। জয়ের মধ্যেও ম্যাক্সওয়েলের ফর্ম কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে ফিঞ্চকে। ম্যাক্সওয়েল আউট হলে ব্যাট করতে নামেন মার্কাস স্টোইনিস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই এই ম্যাচে শুরু করেন তিনি।
ফিঞ্চ ও স্টোইনিসের ব্যাটে রানের গতি বাড়ে অস্ট্রেলিয়ার। ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্টোইনিস। ফিঞ্চ করে ৬৩ রান। শেষ দিকে টিম ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড দলকে ১৭৯ রানে নিয়ে যান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই ৫ উইকেট পড়ে যায় আয়ারল্যান্ডের। লোরকান টাকার ছাড়া আয়ারল্যান্ডের টপ ও মিডল অর্ডারের কেউ রান পাননি। শুরুতে ভাল বল করেন ম্যাক্সওয়েল। ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। টাকার এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৮১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। টাকার ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্য়াট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে উঠে এল অস্ট্রেলিয়া। শীর্ষে নিউজ়িল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ৫। এক ম্যাচ বেশি খেলে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টও ৫। নেট রানরেটে নিউজ়িল্যান্ডের থেকে পিছনে তারা। পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে নেমে গেল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার থেকে এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম তাদের।