—প্রতীকী চিত্র
শিশির! শিশির! শিশির!
বিরাট কোহলী, বাবর আজমদের নিয়ে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যত না আলোচনা হচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি চর্চা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সন্ধে হলেই শিশির পড়া নিয়ে। কেন? শুধু পাকিস্তানের কাছে ভারতের ১০ উইকেটে উড়ে যাওয়াই এর পিছনে একমাত্র কারণ নয়। শুক্রবার পর্যন্ত সুপার ১২-র যে ১২টি ম্যাচ হয়েছে, তার মধ্যে ১০টি ম্যাচেই পরে ব্যাট করা দল জিতেছে।
পরিসংখ্যানের আরও একটু গভীরে গেলে দেখা যাবে, পরে ব্যাট করে জেতা ১০টি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচেরই ফয়সালা হয়েছে এক ওভার, বা তার বেশি বাকি থাকতে। নয়টি ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে পাঁচ, বা তার বেশি উইকেটে। অর্থাৎ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রথমে ফিল্ডিং করা দল বিরাট সুবিধে পাচ্ছে শারজা, আবু ধাবি এবং দুবাইয়ের মাঠ থেকে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সেই কারণে শুক্রবার পর্যন্ত হওয়া মূলপর্বের ১২টি ম্যাচের মধ্যে নয়টিতে যিনি টস জিতেছেন, তিনি প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি তিনটি ম্যাচে টস জিতে সংশ্লিষ্ট অধিনায়ক প্রথমে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেও তার দু’টি ম্যাচেই হারতে হয়েছে।
পাকিস্তানের কাছে হারার পরে কোহলী বলেছিলেন, ‘‘শিশিরের মতো ছোটখাটো বিষয়গুলি বড় হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবেশে টস জেতাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ কিন্তু টস জেতা-হারা কারও হাতে নেই। তার উপর কোহলীর টস-ভাগ্য খুব খারাপ। তাহলে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও যদি ভারতকে টসে হেরে পরে বল করতে হয়, তা হলে কী করবেন কোহলীরা?
ভারতীয় দল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির টোটকা কাজে লাগাচ্ছে ভারতীয় দল। এত দিন পর্যন্ত উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ভিজে বলে অনুশীলন করেন শুধু ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু এখন যশপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তীরাও ভিজে বলে অনুশীলন করছেন।
লক্ষ্য একটাই, ম্যাচ চলাকালীন শিশির পড়লে বলের যে অবস্থা হয়, অনুশীলনেও সেই পরিবেশ তৈরি করা, যাতে ভিজে বল কী করে ধরতে হয়, সেটা রপ্ত করতে পারেন ভারতীয় বোলাররা। পাশাপাশি এটাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, বালতিতে বল চুবিয়ে অনুশীলন করার সময় বল যেন নরম না হয়ে যায়। বল খুব বেশি ভিজে গেলে তার চামড়া ভারী হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বলের আচরণও সম্পূর্ণ বদলে যায়। তাই শুধু বলের বাইরের অংশটি ভিজে এবং পিচ্ছিল করে তোলাই লক্ষ্য।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে রবি শাস্ত্রী ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন। কোহলীদের নতুন কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের দায়িত্ব নেওয়া প্রায় পাকা। এখন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর দ্রাবিড়ই হয়ত বুমরা, বরুণ, জাডেজাদের জন্য এই অভিনব পন্থা বাতলে দিয়েছেন।