প্রথম বার মুস্তাক আলি ট্রফি জিতল মুম্বই। ছবি: টুইটার
ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ যাওয়া অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বেই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। রবিবার ইডেনে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে দাপট দেখান সরফরাজ খান। হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল মুম্বই।
প্রথম বার মুস্তাক আলি ট্রফি জিতল মুম্বই। রবিবার হিমাচলপ্রদেশ প্রথমে ব্যাট করে ১৪৩ রান তোলে। কোনও ব্যাটারই সে ভাবে রান করতে পারেননি। একান্ত সেন ৩৭ রান করেন। আকাশ বশিষ্ঠ করেন ২৫ রান। নিখিল গাংটা (২২) এবং ময়ঙ্ক ডগর (২১ অপরাজিত) ভাল শুরু করেও বেশি রান করতে পারেননি। মুম্বইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহিত অবস্তি এবং তানুশ কোটিয়ান। একটি করে উইকেট নেন আমন হাকিম এবং শিবম দুবে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তানুশ। তিনি দু’টি ক্যাচও নিয়েছেন।
অল্প রানে হিমাচলপ্রদেশকে আটকে রাখলেও মুম্বই যে সহজে ম্যাচ জিতেছে তেমন নয়। ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একটা সময় বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল রাহানের দল। পৃথ্বী শ ১১ রানে আউট হয়ে যান। রাহানে মাত্র ১ রান করেন। যশস্বী জয়সওয়াল ২৮ বলে ২৭ রান করেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ২৬ বলে ৩৪ রান করেন। রান পাননি শিবম। তিনি মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান। তারকা খচিত মুম্বই দল হঠাৎ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। শেষ ১৪ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। এমন অবস্থায় ১৯তম ওভারে ম্যাচের রং পাল্টে দেন সরফরাজ। একাই ১৫ রান নেন। দু’টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। মুম্বইও ম্যাচ নিজেদের পকেটে ভরে ফেলে। ঋষি ধওয়ানরা পারলেন না মুম্বইকে হারিয়ে অঘটন ঘটাতে।
ম্যাচ শেষে সরফরাজ বলেন, “এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে এবং সেমিফাইনালে উঠেছিলাম। রঞ্জির ফাইনালে উঠেও হেরেছিলাম। তাই এ বার আর সেই দুঃখ নিতে চাইনি। আমাদের দলের একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বটা খুব বেশি। সেটাই মাঠে কাজে লাগে। ১৪০–১৫০ রান বোর্ডে থাকলে ম্যাচ কঠিন হতে পারে। আমি চেয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত থাকতে। জানতাম পাঁচ জন ফিল্ডার ৩০ গজের মধ্যে থাকবে। সেটার সুবিধা নিতে পারব এই বিশ্বাস আমার ছিল।”