IPL 2025

আবার ব্যর্থ হায়দরাবাদের হেড, অভিষেক, ঈশান! গুজরাতের সামনে জয়ের লক্ষ্য ১৫৩ রান

আরও এক বার ব্যর্থ হায়দরাবাদের ব্যাটিং আক্রমণ। ঘরের মাঠে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৫২ রান করলেন প্যাট কামিন্সেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২১:১৩
Share:

আউট হয়ে ফিরছেন ঈশান কিশন (ডান দিকে কমলা জার্সিতে)। পিছনে উল্লাস গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই।

আগের তিনটি ম্যাচে বড় রান করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আরও একটি ম্যাচে সেই ছবি দেখা গেল। আরও এক বার ব্যর্থ হায়দরাবাদের ব্যাটিং আক্রমণ। ঘরের মাঠে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৫২ রান করলেন প্যাট কামিন্সেরা। রান পেলেন না অভিষেক শর্মা, ট্রেভিস হেড, ঈশান কিশনেরা। ভাল বল করলেন হায়দরাবাদের ছেলে গুজরাতের মহম্মদ সিরাজ। জয়ের হ্যাটট্রিকের জন্য ১৫৩ রান করতে হবে শুভমন গিলদের।

Advertisement

টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাতের অধিনায়ক শুভমন। তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত করেন সিরাজ। নতুন বলে হায়দরাবাদকে জোড়া ধাক্কা দেন তিনি। গত কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষ নয়, নিজের দলের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন হেড। এই ম্যাচেও তাই হল। প্রথম ওভারেই ৮ রান করে সিরাজের বলে আউট হন তিনি। পঞ্চম ওভারে অভিষেককে ১৮ রানের মাথায় ফেরান সিরাজ। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় হায়দরাবাদ।

ঈশান শুরুতে একটু ধরে খেলছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করবেন। কিন্তু কোথায় কী? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ১৭ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। যে তিন ব্যাটারের উপর দলকে ভাল শুরু দেওয়ার দায়িত্ব ছিল, তাঁরা তিন জনই অল্প রানে ফেরেন।

Advertisement

চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন নীতীশ রেড্ডি ও হেনরিখ ক্লাসেন। মাঝে মাঝে বড় শট মারছিলেন তাঁরা। ৫০ রানের জুটি হয় দু’জনের মধ্যে। কিন্তু তাঁরাও শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। প্রথমে ২৭ রান করে ক্লাসেন ও তার পর ৩১ রান করে নীতীশ আউট হন। দু’টি উইকেটই নেন বাঁহাতি স্পিনার সাই কিশোর। ১৫ ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ।

বোঝা যাচ্ছিল, আরও একটি ম্যাচে বড় রান করতে পারবে না হায়দরাবাদ। অনিকেত বর্মা, কামিন্সেরা অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু গুজরাতেরা বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হাত খুলতে পারছিলেন না তাঁরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় জুটি হয়নি। ২০তম ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে ১৭ রান নেন কামিন্স ও মহম্মদ শামি। দলকে কিছুটা সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যান তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে হায়দরাবাদ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন সিরাজ। এই ম্যাচেও তেমনই বল করলেন তিনি। চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ঘরের ছেলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement