গৌতম গম্ভীর। ছবি: বিসিসিআই।
কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছিল ভারত। টেস্ট হলেও ব্যাটারেরা খেলেছিলেন টি-টোয়েন্টির ঢংয়ে। ইংল্যান্ডের ‘বাজ়বল’-এর অনুকরণে সেই খেলার নাম রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ‘গ্যামবল’। সেই শব্দের বিরোধিতা করে গৌতম গম্ভীরের সমর্থকদের একহাত নিলেন সুনীল গাওস্কর।
টেস্টে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে ইংল্যান্ড। সে দেশের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম ‘বাজ়’ থেকে ইংল্যান্ডের খেলার ধরনের নাম হয়েছে ‘বাজ়বল’। একই ভাবে গম্ভীরের পদবির আদ্যক্ষর দিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘গ্যামবল’। যদিও তার আগে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকল ভন সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘ভারত বাজ়বল খেলছে’।
এক সংবাদপত্রের কলামে গাওস্কর লিখেছেন, “ভারতের ব্যাটিং বেশ উত্তেজক এবং সতেজ ছিল। কিন্তু যে নাম দেওয়া হয়েছে সেটা খুব পুরনো, বস্তাপচা। আমেরিকায় ৫০ বছর আগে ওয়াটার-গেট কেলেঙ্কারির পর এখন যে ভাবে কোনও কেলেঙ্কারির সঙ্গে এই-গেট, ওই-গেট জুড়ে দেওয়া হয় সে ভাবেই ভারতের ব্যাটিং কৌশলকে অমুক-বল, তমুক-বল নাম দেওয়া হচ্ছে। বাজ়বলের থেকে এটা শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “একটা সংবাদপত্রে দেখলাম রোহিতের প্রশংসা করে ভারতের আগ্রাসী খেলাকে ‘বসবল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ দলে অধিনায়কই ‘বস’। এটা ঠিকই যে রোহিত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবু কিছু মানুষ কোচের নাম ধার করে একে ‘গ্যামবল’ বলা শুরু করেছে। বেন স্টোকস এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম একসঙ্গে কাজ শুরু করার পর ইংল্যান্ডের খেলা বদলে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু গত দু’বছর ধরে রোহিতকে এ রকম ভাবেই ব্যাট করতে দেখেছি।”
এর পরেই গাওস্করের ক্ষোভ, “গম্ভীর সবে দু’মাস হল ভারতের কোচ হয়েছে। এখনই ওর নামের সঙ্গে খেলার কৌশল জুড়ে দেওয়াকে আমি পদলেহনের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ বলে মনে করি। ম্যাকালাম যে ভাবে ব্যাট করত সে ভাবে গম্ভীর কোনও দিন ব্যাট করেছে কি না জানি না। যদি কাউকে কৃতিত্ব দিতেই হয় তা হলে রোহিতকেই দেওয়া উচিত। আর কাউকে নয়।”